বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন নিত্যপণ্যের বাজার সমিতির নামে সিন্ডিকেট কার্যক্রম তদন্তে মাঠে নামছে। তাছাড়া কমিশন বিভিন্ন বাজারে কথিত কমিশন ব্যবসার হদিস পেলেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। নিত্যপণ্যের বাজারে দাম বাড়াতে কলকাঠি নাড়ছে সমিতি নামে কিছু সংগঠন। নানা নামে সারা দেশেই এ ধরনের সমিতির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। ঢাকার অদূরে সাভারে ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে সাভার পৌর ডিম ব্যবসায়ী সমিতি। চট্টগ্রামের ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে পাহাড়তলি ডিম ব্যবসায়ী সমিতি। প্রতিযোগিতা কমিশন সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, নির্বাচনের আগে একটি চক্র অহেতুক কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের দাম বাড়াতে পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে বলে মনে করছে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। আর দাম বাড়ানোর পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে বাজারভিত্তিক বিভিন্ন সমিতির নামে কমিশন। ওসব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে সম্প্রতি প্রতিযোগিতা কমিশন একটি বৈঠক করে। ওই বৈঠকের গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরে সভার কার্যবিবরণী অতিসম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সূত্র জানায়, প্রতিযোগিতা কমিশন দুটি বিষয়কে গুরুত্ব দিচ্ছে। আর তা হচ্ছে- বিভিন্ন সমিতির নামে বিভিন্ন সেক্টরে বিদ্যমান সিন্ডিকেট বা প্রতিযোগিতাবিরোধী কর্মকান্ডের যথাযথ অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা এবং বিভিন্ন বড় বাজারে বিদ্যমান তথাকথিত কমিশন ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা আইনের ধারায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। প্রতিযোগিতা কমিশনের অনুসন্ধানে সব ধরনের নিত্যপণ্যের তালিকাই থাকবে। যে পণ্যের নামেই সমিতি হোক- তা সিন্ডিকেট বা কমিশন গ্রহণে যুক্ত প্রমাণিত হলে মামলা হবে। আর মামলায় বাদী হবে খোদ প্রতিযোগিতা কমিশন। এ প্রসঙ্গে প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্ত্তী জানান, বিভিন্ন পণ্যের নামে বা বাজারভিত্তিক যেসব সমিতি রয়েছে সেগুলোর কার্যক্রম খতিয়ে দেখবে প্রতিযোগিতা কমিশন। তদন্তে সমিতি বা বাজারগুলোর কার্যক্রম যদি প্রতিযোগিতা কমিশন আইনে আমলযোগ্য অপরাধ হিসেবে প্রমাণিত হয়- তবে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কমিশনের অনুসন্ধান কার্যক্রমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও যুক্ত থাকবে।