রাজধানীসহ সারাদেশে সব খাল-বিল, নদী-নালার সঙ্গে যে যার মতো করে মনুষ্যসৃষ্ট পয়ঃবর্জ্য এবং অন্যান্য বর্জ্যরে লাইনের সংযোগ দিচ্ছে। ফলে দেশের নদীগুলো ভয়াবহ পরিবেশ দূষণের কবলে পড়ছে। একই সঙ্গে দূষিত হচ্ছে শহর ও গ্রামের পরিবেশ। এমন পরিস্থিতিতে বর্জ্যে পরিবেশ দূষণ সম্পূর্ণ বন্ধ করতে কঠোর হচ্ছে সরকার। ওই লক্ষ্যে এবার একযোগে মাঠে নামতে যাচ্ছে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদ। সম্প্রতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এমন নির্দেশ জারি করা হয়েছে। তাছাড়া সরকার ইউনিসেফের সহয়তায় পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত একটি বিশেষ নীতিমালাও তৈরি করেছে। নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিটি ভবন বা কারখানা মালিকের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা নিজ উদ্যোগে বাস্তবায়ন করতে হবে। যদিও অনেক ভবন এবং শিল্প-কারাখানা মালিক ওই নিয়ম মানছে না। নদী, খাল, নালা বা ড্রেনের সঙ্গে সংযোগ দিয়ে তারা পরিবেশ দূষণ করছে। কিন্তু এখন থেকে প্রতিটি ভবন বা স্থাপনার সঙ্গে সেপটিক ট্যাংক ও সোকওয়েল বাধ্যতামূলকভাবেই তৈরি করতে হবে। নির্মাণের সময়ই তা মানা হচ্ছে ি না বা কেউ তা কতোটুকু বাস্তবায়ন করছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবে। না মানলে প্রয়োজনে ভবন নির্মাণকাজ বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে ভবন মালিককে দেয়া হবে আইনানুযায়ী জেল-জরিমানার শাস্তি। মূলত যত্রতত্র বা ইচ্ছেমতো যে কোন স্থাপনার পয়ঃবর্জ্য লাইনের সংযোগ খাল বা ড্রেনের সঙ্গে যুক্ত করা স্থায়ীভাবে বন্ধ করতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্জ্য ব্যবস্থার বিষয়ে দেশে আইন থাকলেও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নেই। এ কারণেই পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নিয়ন্ত্রণ আনতে সব বাড়ির পয়ঃবর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে জমা করতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। রাজধানী থেকে শুরু হয়ে ওই অভিযান পর্যায়ক্রমে গ্রাম-গঞ্জেও পরিচালিত হবে। সরকারের এ নির্দেশ বাস্তবায়নে একযোগে মাঠে নামবে রাজধানীর দায়িত্বপ্রাপ্ত সেবাদানকারী ৪টি প্রতিষ্ঠান রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), ঢাকা ওয়াসা, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নতুন গতি আনতেই এমন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারি-মার্চ দু’মাসে নাগরিকদের সচেতন করতে ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালানো হলেও এপ্রিল মাস থেকেই একযোগে যৌথ অভিযানে মাঠে নামবে সরকারের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। একইসঙ্গে তারপরই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে পৌরসভায় পয়ঃবর্জ্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। আর এ কাজে দেশব্যাপী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর সহায়তা করবে।
সূত্র জানায়, সুন্দর পরিচ্ছন্ন রাজধানী গড়ে তুলতে সেপটিক ট্যাংক নীতিমালার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করা হবে। সরকারী বিধি অনুযায়ী সেপটিক ট্যাংক ও সোকওয়েল স্থাপন করার বিধান থাকলেও বাস্তবে অনেককেই তা মানতে দেখা যায় না। কোন অবস্থাতেই পয়ঃনিষ্কাশন লাইনের সংযোগ স্টর্ম ওয়াটার ড্রেন, খাল, লেক ও অন্যান্য জলাশয়ে দেয়া যাবে না এমন বিধির সর্বোচ্চ প্রয়োগে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো মাঠে নামবে। নির্দেশ অনুযায়ী বাড়ি বা স্থাপনার মালিকরা পয়ঃবর্জ্য নির্দিষ্ট স্থানে জমা না করলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থার ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সেপটিক ট্যাংক আইনের সঠিক বাস্তবায়ন ও রাজধানীর পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় রাজধানীর পয়ঃবর্জ্য কোন পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় ডিএনসিসি মেয়র রাজধানীর খাল ও ড্রেনগুলোতে স্যুয়ারেজ লাইনের সংযোগ বন্ধের জন্য সভায় দু’মাস সময় চায়। আর তারই অংশ হিসেবে সম্প্রতি ডিএনসিসি নাগরিকদের সচেতনতার স্বার্থে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার সব বাসাবাড়ি, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য স্থাপনার পয়ঃনিষ্কাশন লাইন স্টর্ম ওয়াটার ড্রেন, খাল, লেক ও অন্যান্য জলাশয় থেকে বিচ্ছিন্ন করতে হবে। তাছাড়া ভবন বা কারখানা মালিককে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা নিজ উদ্যোগে করতে হবে। কোন অবস্থাতেই পয়ঃনিষ্কাশন লাইনের সংযোগ স্টর্ম ওয়াটার ড্রেন, খাল, লেক ও অন্যান্য জলাশয়ে দেয়া যাবে না। নোটিসে বলা হয়, সরকারী বিধি অনুযায়ী সেপটিক ট্যাংক ও সোকওয়েল স্থাপন করার বিধান রয়েছে। কিন্তু অনেক বাসাবাড়ি ও স্থাপনার পয়ঃনিষ্কাশন লাইন সরাসরি ডিএনসিসির বিভিন্ন জলাশয়ে দেয়া হয়েছে। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ এবং স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে সব বাসাবাড়ি, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য স্থাপনার অবৈধ পয়ঃনিষ্কাশন লাইন নিজ উদ্যোগে বিচ্ছিন্ন করে সেপটিক ট্যাংক ও সোকওয়েল স্থাপন করে পরিবেশসম্মত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ডিএনসিসির পক্ষ থেকে সংথিøষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ডিএনসিসি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানানো হয়।
সূত্র আরো জানায়, প্রতিটি সেপটিক ট্যাংক স্থাপনে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা খরচ হয়। আর বায়োলজিক্যাল টেকনোলজির স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট করতে খরচ হবে ৬ থেকে ১৫ লাখ টাকা। এ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের পানি ড্রেনে ছেড়ে দিলে খরচ কম হবে। আর ওসব পানির পুনর্ব্যবহার করলে খরচ একটু বেশি হবে। ছোট আকৃতির যে কোন ভবন থেকে আবাসিক জোনে সেন্ট্রালভাবে বায়োলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করা যাবে। বর্তমানে রাজধানীর অধিকাংশ এলাকায় স্যুয়ারেজ সিস্টেম না থাকায় ডোবা-নালার পানি দূষিত হচ্ছে। বৃষ্টি হলে ওসব পানি বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও শীতলক্ষ্যায় গিয়ে নদীর মারাত্মক দূষণ ঘটাচ্ছে। ফলে ওসব নদীর পানি ঢাকা ওয়াসা বিভিন্ন উপায়ে পরিশোধন করার পরও চাহিদানুযায়ী নগরবাসী তা ব্যবহার করতে পারছে না।
এদিকে এ বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান জানান, আইন অনুযায়ী প্রতিটি ভবনে সেপটিক ট্যাংক ও সোকপিট স্থাপন করা বাধ্যতামূলক। রাজউক কর্তৃপক্ষের ওসব ভবন নির্মাণের সময় তদারকির মূল দায়িত্ব পালন করার কথা। যেহেতু নক্সা রাজউক প্রণয়ন করে তাই ভবনের পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সেপটিক ট্যাংক স্থাপন করা আছে কি তা তাদেরই দেখতে হবে। এর সঙ্গে ওয়াসার সরাসরি কোন সম্পর্ক নেই। ভবন বা স্থাপনার মালিক বাধ্য হয়েই পয়ঃবর্জ্য সমস্যার সমাধানে সেপটিক ট্যাংক স্থাপন করবে। অন্যথায় অকুপেন্সি সনদ রাজউক প্রদান করতে পারে না। ভবন নির্মাণ কাজে রাজউকের তদারকি থাকলে ঢাকা শহরের পয়ঃবর্জ্য সমস্যার দ্রুত সমাধান করা সম্ভব। রাজধানীর প্রায় ২ কোটি নাগরিকের পয়ঃশোধনাগারের জন্য ঢাকা ওয়াসা পুরো ঢাকার চারপাশে মোট ৫টি পয়ঃশোধনাগার নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যেই ওসব প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। ওসব প্রকল্পের কাজ গুরুত্বের সঙ্গে চলমান রয়েছে। আশা করা যায় ২০২৭ সালের মধ্যেই সমস্ত ঢাকাকে পয়ঃশোধনাগারের আওতায় আনা সম্ভব হবে। ওই লক্ষ্যেই কাজ করা হচ্ছে। ৫টি প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা শহরের সব পয়ঃবর্জ্য শোধন করে নদীতে ফেলা হবে। যাতে পরিবেশ দূষিত না হয়।
অন্যদিকে এ বিষয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান সাঈদ নূর আলম জানান, পাস করা নক্সা অনুযায়ী প্রতিটি ভবনে নিজস্ব উদ্যোগে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা ভবন মালিকরা করবে। পরিবেশ দূষণ বন্ধ করতে ভবন বা স্থাপনার মালিকদের বাধ্যতামূলকভাবে নিজস্ব উদ্যোগেই সেপটিক ট্যাংক স্থাপন করতে হবে ও নক্সা মেনেই ভবন তৈরি করতে হবে। কিন্তু কিছু বাড়ির মালিক নিজস্ব কোন পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা না করে বাড়ির সঙ্গে থাকা খাল বিল বা ড্রেন নালার সঙ্গে সংযোগ দিয়ে দেয়। ফলে পয়ঃবর্জ্যসহ সব ধরনের বর্জ্য ছড়িয়ে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করে। যা আইনত সম্পূর্ণরূপে নিষেধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। রাজউকের পরিদর্শকরা নিয়মিত ওসব কার্যক্রম পরিচালনা করলেও জনবল কম থাকায় আইনের পুরোপুরি কার্যকারিতা রক্ষা করা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। তবে সম্প্রতি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার সংক্রান্ত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। তাতে রাজধানীর সব খাল-বিলে যাতে করে ভবন বা স্থাপনার পয়ঃবর্জ্য পাইপের সংযোগ না দেয়া হয় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। একইসঙ্গে খাল বা জলাশয়ের সঙ্গে সংযোগ দেয়া সব পয়ঃবর্জ্য সংযোগ চিহ্নিত করে তা বন্ধ করে দেয়ারও সিদ্ধান্ত হয়। প্রয়োজনে আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নানা দিক-নির্দেশনা দেয়া হয়। পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতন করার মাধ্যমে আইন পরিপালনে উৎসাহিত করতে ও প্রচারের স্বার্থে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ২ মাস সময় দিয়েছেন। তাই প্রচার শেষে আগামী এপ্রিল থেকেই সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে রাজউক একযোগে অভিযান চালাবে।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি জানান, রাজধানী ঢাকাসহ দেশেই পয়ঃবর্জ্য বা যে কোন প্রকার বর্জ্যের কারণে নিয়মিতভাবেই ভয়াবহ পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় ইচ্ছেমতো যে কেউ মনুষ্যসৃষ্ট পয়ঃবর্জ্যের সংযোগ নদী-নালা-খালের সঙ্গে দিয়ে দিচ্ছে। ফলে পানি ভয়াবহভাবে দূষিত হচ্ছে। যার বিরূপ প্রভাব সরাসরি নাগরিকদের ওপর পড়ছে। তাই পয়ঃবর্জ্যসহ সব বর্জ্যের নিয়ন্ত্রণ আনতে প্রাথমিকভাবে রাজধানীতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে তা পরিচালনা করা হবে। সবাইকে সঙ্গে নিয়েই পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালা বাস্তবায়ন করা হবে। পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা ওয়াসা ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) সঙ্গে নিয়ে এপ্রিল মাস থেকেই যৌথভাবে অভিযান শুরু করা হবে। তার আগে ২ মাস ঢাকার সব খাল বা ড্রেনের সঙ্গে অবৈধভাবে পয়ঃবর্জ্য, কারখানার বর্জ্য, বাসাবাড়ির সব ধরনের বর্জ্যের দূষিত পানির লাইন সংযোগ দেয়া আছে তা বন্ধের জন্য প্রচারণা চালানো হবে। তারপরও কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা না করলে খাল বা ড্রেনের সঙ্গে পয়ঃবর্জ্যরে সংযোগ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করতে লাইনগুলো সিলগালা করে দেয়া হবে। তারপরই পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতমালা অনুযায়ী সরকারের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে পৌরসভা ও সব সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে কঠোরভাবে অভিযান পরিচালনা করা হবে। নিয়মানুযায়ী যত্রতত্র বা ইচ্ছেমতো যে কোন স্থাপনার পয়ঃবর্জ্যের লাইনের সংযোগ খাল বা ড্রেনের সঙ্গে যুক্ত করা স্থায়ীভাবে বন্ধ করতেই এমন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।