বাগেরহাটের শরণখোলায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ৩টি ড্রেজার মেশিন আটক করেছে। এ সময় দুটি ড্রেজারকে ১ লাখ টাকা জরিমানা ও অপরটি নিলাম ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করাসহ মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুদীপ্ত কুমার সিংহ।
উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা যায়, গ্রামবাসীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুদীপ্ত কুমার সিংহ শনিবার বিকেলে (১৬ নভেম্বর) উপজেলার মালিয়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মালিয়া খাল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনরত অবস্থায় একটি ড্রাম ড্রেজার জব্দ করা হয়। এ সময় ড্রাম ড্রেজারের মালিক শাহ জামাল হাওলাদার ও মিজান হাওলাদার পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে জব্দকৃত ড্রেজার এলাকার গ্রাম পুলিশের জিম্মায় রাখা হয়েছে।
অপর দিকে গত ১০ নভেম্বর বিকেল থেকে উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের আমড়াগাছিয়া এলাকার ছোটো খাল থেকে ২টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগে অভিযান চালিয়ে ১টি ড্রেজার থেকে ড্রাইভার ও ১জন সহকারীকে ধরা হলে অপরটির সকল লোকজন পালিয়ে গেলে যাদের জমিতে বালু ভরাট করা হচ্ছিল তাদের একজনকে আটক করা হয়। পরে পরে মাটি ও বালু মহল ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ একক কর্তৃপক্ষ অনুযায়ী ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ড্রেজার মালিকদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুদীপ্ত কুমার সিংহ বলেন, জব্দকৃত বালু উত্তোলনের ড্রেজারটি পরে নিলাম ডাকের মাধ্যমে বিক্রি করাসহ মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে ১০ নভেম্বর আমাদের মাটি ও মাতৃভূমিকে রক্ষায় এলাকাবাসিকে সচেতন করতে এবং এ অবৈধ বালু উত্তোলন প্রতিরোধে আমড়াগাছিয়া এলাকার খাল থেকে এ অভিযান পরিচালনা করে ৫০ হাজার করে ২ মালিককে ১ লাখ টাকা অর্থদন্ড করা হয়। এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।