যুবদল নেতার প্রভাব বিস্তার করে নগরীর নৌ-বন্দর থেকে জেলার হিজলার একটি লঞ্চঘাটের ইজারার শিডিউল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার শিডিউল জমা দেয়ার শেষ সময়ের মাত্র ১০ মিনিট পূর্বে ১২ টা ৫০ মিনিটের দিকে নৌ টার্মিনাল ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে পে-অর্ডারসহ শিডিউলটি ছিনতাই করা হয়েছে।
সূত্রমতে, রবিবার ছিল হিজলার বাবুগঞ্জ নামক লঞ্চঘাটের ইজারার শিডিউল জমা দেয়ার শেষ দিন। ওইদিন দুপুর একটার মধ্যে শিডিউল জমা দেওয়া এবং বিকেল তিনটার সময় প্রকাশ্যে দরপত্র খোলার সময় নির্ধারণ ছিলো। ওই লঞ্চঘাটের ইজারার জন্য তিনটি দরপত্র বিক্রি হয়। সূত্রে আরও জানা গেছে, ধুলখোলা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সগির আহমেদ ও একই ইউনিয়নের বিএনপি নেতা জাকির হোসেন দুইটি এবং উত্তর উলানিয়া ইউনিয়নের মৎস্য দলের সভাপতি কালু ঢালী একটি শিডিউল ক্রয় করেন। এরমধ্যে সগির ও জাকির হোসেন শিডিউল জমা দিলেও কালু ঢালীর শিডিউলটি জমা দেওয়ার পূর্বেই ছিনতাই করা হয়েছে।
ওইদিন বিকেলে কালু ঢালীর পক্ষে শিডিউল জমা দিতে আসা নয়ন মিয়া অভিযোগ করেন, নৌ-টার্মিনাল ভবনের দ্বিতীয় তলায় শিডিউল জমা দেয়ার কক্ষে ঢুকে শিডিউল জমা দেয়ার সময় চারজন যুবক এসে আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক শিডিউলটি ছিনিয়ে নেয়। তখন আমি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান, বরিশাল মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জাহান ভাইয়ের নির্দেশে তারা শিডিউল নিয়ে যাচ্ছেন।
নয়ন আরো অভিযোগ করেন, এসময় ওই অফিসের অনেক লোক থাকলেও কেউ তাদের বাঁধা প্রদান করেননি। দরপত্র ক্রয় করা কালু ঢালী বলেন, আমার পে-অর্ডারের চেকও ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে আমি এখন আমার জামানতের টাকাও তুলতে পারবোনা। আমি আমার জামানত ফিরে পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জাহান বলেন, আমি আদালতে আছি। আমার কোন লোক ওখানে যায়নি, বা আমি কাউকে পাঠাইনি। কে বা কারা আমার নাম ব্যবহার করে এ কাজ করছে তা আমার জানা নেই।
এ ঘটনায় পোর্ট অফিসার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শিডিউল ছিনতাইয়ের ঘটনা জামাল ঢালী নামের হিজলা উপজেলার এক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। কিন্তু যখন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে তখন আমাকে জানালে আমি তাৎক্ষণিক প্রশাসনের সাহায্য নিতে পারতাম। তবে দরপত্র জমা ও খোলার দিন কেন প্রশাসনের সাহায্য নেওয়া হয়নি সে বিষয়ে জানতে চাইলে পোর্ট অফিসার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অর্থনৈতিক বাজেট কম থাকায় প্রশাসনের সদস্যদের রাখা হয়নি।