মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলকায় অবৈধ ভাবে গড়ে তোলা চূনা, ঢালাই ও মার্বেল কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। আর এতে করে উপজেলাবাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কোহিনূর আক্তার।গেল বুধবার উপজেলার জামালদী, বালুয়াকান্দি ও বাউশিয়া এলাকায় দিনভর অভিযান পরিচালনা করে এসব অবৈধ কারখানার কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। এসময় বাউশিয়া ইউনিয়নের মানাবে ওয়াটার পার্কের বিপরীত পাশে গড়ে তোলা চূনা কারখানার চুল্লী এক্সকাভেটর দিয়ে গুড়িয়ে দিয়ে বৃহস্পতিবার সকল স্থাপনা সরানোর নির্দেষ দেন তিনি। জানা যায়,পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই জামালদী, বালুয়াকান্দি ও বাউশিয়া এলাকায় প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক কিছু ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় এসব অবৈধ কারখানা চালিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। স্থানীয়দের এমন সংবাদের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়,কারখানার শ্রমিকেরা চুল্লির মুখে সাজাচ্ছে পাথর। খুব দাপটের সাথে অবৈধ কারখানা পরিচালনা করে করছে। পরবর্তীতে সংবাদকর্মীরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করলে অবৈধ চূনা, ঢালাই ও মার্বেল এই তিনটি কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন। স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, প্রভাবশালী মহলের ছাত্র ছায়ায় চোখের সামনে পরিবেশে দূষণ করে দিনের পর দিন তারা অবৈধ ব্যবসা করে আসছে। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারি নাই। আমরা সাধুবাদ জানাই ইউএনও মহোদয়কে। পরিবেশ বিদ্বংসী ও গ্যাস চোরদের কারখানা গুলো বন্ধ করে দিয়েছে। বিষয়টি সত্যিই প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য। গতকাল বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে গজারিয়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কোহিনূর আক্তার বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশক্রমে কঠোর অবস্থানে রয়েছে উপজেলা প্রশাসন। কোন অবস্থায়ই অবৈধ ভাবে এ সকল কারখানা করতে দেয়া হবে না। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতেও এ ধরনের কঠোর পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।