গজারিয়া, মুন্সীগঞ্জ) :মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ইউনিয়নের চর বাউশিয়া বড় কান্দী, বক্তার কান্দী ও টেকপাড়া গ্রামের ফসলের মাঠে প্র ায় দুশত বিঘা জমির পাকা আমন ধান ড্রেজারের নিষ্কাশিত পানিতে ডুবে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় ঘাম ঝরানো স্বপ্নের পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাউশিয়া ইউনিয়নের ওই তিন গ্রামের ফসলের মাঠে থইথই পানি। কুচকুচে কালো রঙের এই পানিতে পাকা আমন ধান ডুবে আছে।পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জানান, একটি কোম্পানি তার জায়গা ড্রেজার দিয়ে বালু ভরাটের নিষ্কাশিত বালি মিশ্রিত পানিতে ওই এলাকার প্রায় একশত কৃষকের পাকা ধান ডুবে গেছে। এই মুহূর্তে তাদের ধান কর্তন করতে না পারলে তারা আগামীতে ভুট্টা ও সরিষা আবাদ করতে পারবেনা বলে জানান। মাঠ থেকে দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য দাবি জানিয়েছেন কৃষকেরা। কৃষক সুমন মিয়া বলেন, চলতি আমন মৌসুমে ২০ বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছি। ধান বালি আর হাঁটু পানিতে ডুবে আছে। সময় মতো ধান ঘরে তুলতে না পারলে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানান তিনি। সুরুজ মিয়া অপর এক কৃষক বলেন, আমি ঋণ নিয়ে ৩ বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি। ফসল বিক্রি করে তা পরিশোধ করার কথা। কিন্তু ফসল ঘরে আসবে কি না সেই চিন্তাই আছি। কোম্পানির ড্রেজারের পানিতে ফসল তলিয়ে গেছে। ফসল নষ্ট হলে কীভাবে আমি ঋণ পরিশোধ করবো। এদিকে ফসল তলিয়ে যাওয়ায় সেই ধান কাটতে শ্রমিকেরাও বেশি মজুরি চাচ্ছেন। স্থানীয় বাউশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবায়দুল্লাহ বলেন, বিষয়টা আজ আমি আপনাদের কাছ থেকেই জানতে পারলাম। কোন ভুক্তভোগী কৃষক আমাকে জানাই নাই। তবে পাইপ দিয়ে একটি কোম্পানিতে বালু ভরাট হচ্ছে সেটা জানি। গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনূর আক্তার জানান, বালু ভরাটের পানির কারণে ফসলের মাঠে জলাবদ্ধতা এমনটা আমাদের জানা ছিল না। আমরা বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিব'।