পাবনার সুজানগরের হাট-বাজারে আলু এবং বেগুনের দাম পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এতে নিম্ন এবং মধ্য আয়ের মানুষের পক্ষে আলু এবং বেগুন কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
সরেজমিন খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, গত ১০/১২দিন আগেও উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজারে প্রতিকেজি আলু ৫৫ থেকে ৬০টাকা এবং প্রতিকেজি বেগুন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অথচ মাত্র ১০/১২দিনের ব্যবধানে বর্তমানে উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজারে প্রতিকেজি আলু ৭০টাকা এবং প্রতিকেজি বেগুনও ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রমজান আলী শেখ বলেন প্রত্যেক বছর শীতের মৌসুমে আলু এবং বেগুনসহ অন্যান্য সবজি বেশ কম দামে বিক্রি হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে চলতি শীতের মৌসুমে বেশিরভাগ সবজি অস্বাভাবিক চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে ওই সকল সবজি আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। বিশেষ করে আলু এবং বেগুন কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সুজানগর পৌর বাজারের চাল ব্যবসায়ী নিত্য কুন্ডু বলেন বর্তমানে হাট-বাজারে চালের বাজার বেশ চড়া। কিন্তু তার পরও হাট-বাজারে চালের চেয়ে আলু এবং বেগুনের দাম আরো চড়া। তিনি বলেন বর্তমান বাজারে প্রতিকেজি মোটা চাল ৪৫ থেকে ৫০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু হাটবাজারে ১কেজি আলু কিংবা ১কেজি বেগুন কিনতে কম পক্ষে ৬০ থেতে ৭০টাকা লাগছে। ফলে নিম্ন এবং মধ্য আয়ের মানুষের পাশাপাশি সচ্ছল পরিবারের পক্ষেও আলু এবং বেগুন কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। কোন সবজি ব্যবসায়ী কৃত্রিম সঙ্কট তৈরী বা অধিক মুনাফা লাভের আশায় আলু বেগুনের দাম বাড়ালে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।