চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আওয়ামীলীগের ডোনার প্রভাবশালী এক ব্যবসায়ীর ভাড়া করা শতশত বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিলেন বিএনপির নেতার খামারবাড়ি সহ শতাধিক মূল্যবান গাছ। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার পর উল্টো থানায় মামলা করার পরপরই বিএনপির নেতা শহিদুল ইসলাম বাবুলকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করেছে। পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মতো সকালে কেউ গরুকে ঘাস দিচ্ছে কেউ মুরগীর খামার দিচ্ছে। এসময় দানব আকৃতির একটি স্কেভেটর এসে চোখের পলকে সব মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় উল্টো ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করার পরপরই আসামি গ্রেফতার করার মাধ্যমে পুর্বের আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকারের পুলিশের জুলুম নির্যাতনের পরিচয় দিয়েছে সীতাকুণ্ড থানার পুলিশ। এটি একদিকে যেমন চরম অমানবিক হয়েছে অপরদিকে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখানোর মত ধৃষ্টার পরিচয় দিয়েছে আওয়ামী লীগের ডোনার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী শফিউল আলম। গতকাল ১১ নভেম্বর সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করার পরপরই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য শহিদুল ইসলাম বাবুকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করেছে।
উল্লেখ্য গত ২ নভেম্বর শনিবার সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টার মধ্যে শফিউল আলমের ভাড়া করা বহিরাগত শত শত সন্ত্রাসীদের দিয়ে বুলডোজার দিয়ে গরুর ও মুরগির খামার গুটিয়ে দিয়েছে। এ সময় সন্ত্রাসীরা মেশিনের করা দিয়ে শতাধিক মূল্যবান গাছ কেটে সাভার করে দিয়েছে। প্রকাশ্য দিবে লোকে এমন জবর দখলের ঘটনার দৃশ্য দেখে স্থানীয় এলাকাবাসীরা হতভম্ব হয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগী শহীদুল ইসলাম বাবুল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোঃ এসকান্দর মিয়া প্রকাশ কানুর গরুর খামার ও মুরগির খামার একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। তারা ফার্মের আশপাশে বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় মূল্যবান গাছ গুলো মেশিনের করাত দিয়ে কেটে ফেলেছে। সন্ত্রাসীরা ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর আগে ফার্মের আশপাশের ভাড়াটিয়াদের জোরপূর্বক তাড়িয়ে দেয়। এই এই ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের প্রায় এক কোটি টাকারও অধিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সন্ত্রাসীদের ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর প্রায় শেষ পর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বলেন, এই জায়গার কিছু অংশ নিয়ে ২০২০ সাল থেকে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এদিকে এসকান্দরের ভাই ক্ষতিগ্রস্থ বিএনপি সমর্থিত শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, বিজ্ঞ আদালতের উচ্ছেদ মামলা ছাড়া কিভাবে প্রকাশ্যে দিবালোকে আওয়ামীলীগের ডোনার ও এলাকার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী শফিউল আলমের ভাড়া করা শত শত বহিরাগত লোক দিয়ে নজির বিহীন তাণ্ডব চালিয়েছে।
স্থানীয় একাধিক সুত্র জানিয়েছে, আনুমানিক ১০ কোটি টাকা মূল্যের বিরোধপূর্ণ জায়গাটির উপর একটি প্রভাবশালী ভূমিদস্যু চক্রের কু নজর পড়েছে। সীতাকুণ্ড থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় দুই পক্ষই থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করেছে।