কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্পের আয়োজনে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনায় স্থানীয় অংশীগনদের সাথে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে, আয়োজিত সভায় প্রধান অথিতি ছিলেন জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক কিশোরগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও অতিরিক্ত দায়িত্ব, উপপরিচালক (উপসচিব) মুহাম্মদ রুবেল মাহমুদ। সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি সভার শুরুতে সকলকে স্বাগত জানান। পাশাপাশি গ্রাম আদালত কার্যক্রম সম্পর্কে প্রচার-প্রচারণা তৈরিতে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও চোয়ারম্যানদের সাথে সমন্বয় সভার আয়োজন করতে হবে। দেওয়ানি ও ফৌজদারী আউটরীচ বিষয়গুলো সকলকে আয়ত্ব করে প্রচারণা চালাতে হবে এবং অভিযোগ গ্রহনকারীকে এ বিষয়ে দক্ষ করে তুলতে হবে। যে সকল ইউপিতে মামলার সংখ্যা কম সেখানে ফলোআপ করতে হবে। যদি ইউপি অভিযোগ গ্রহণ না করে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। গ্রাম আদালতের মামলা সমাধানের প্রক্রিয়া সম্পর্কে প্রত্যেক ইউপিতে আলোচনার মাধ্যমে সক্রিয় করে তুলতে হবে। ইউপির বিভিন্ন ফান্ড থেকে একজন অতিরিক্ত ব্যক্তি নিয়োগ দেয়া। যার মাধ্যমে নথী পত্র ও রেজিষ্টার সংরক্ষন করা হবে। প্রতি ইউপি থেকে মাসে ৫ টি করে মামলা নিস্পত্তি হলেও ১০৮টি ইউপিতে মাসে ৫৪০টি মামলা নিস্পত্তি হবে। এতে করে আদালতের জটলা কিছুটা হলেও কমবে। এবিষয়ে গ্রাম আদালত প্রকল্প কর্মীদের সচেষ্ট ও আন্তরিকাতর সাথে দ্বায়িত্ব পালন করতে হবে এবং ইউপি কে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। প্রজারণা বিষযে সকল প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনা প্রদান এবং প্রকল্প কর্মীদেরকে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানান। এছাড়াও বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ৩য় পর্যায় প্রকল্প, ইপসা, কিশোরগঞ্জ জেলার ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার হাফিজা আক্তার প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও প্রকল্পের আওতায় প্রচার-প্রচারণা (আউটরীচ) কার্যক্রমের পরিকল্পনা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং স্থানীয় পর্যায়ে সরকারী ও বেসরকারী সংস্থা সমূহের ভূমিকা এবং ফেব্রুয়ারি ২০২৪ থেকে অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত মামলার তথা ও ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরেন।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আল-আমিন হোসাইন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মুহাম্মদ মহসিন খান, কিশোরগঞ্জ জেলার জেলা সিনিয়র তথ্য অফিসার মো: শামসুল হক, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক কামরুজ্জামান খান, মহিলা বিষয় অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো: মামুন অর রশিদ, যুবউন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক জেড এ শাহাদাৎ হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুন্নাহার মাকছুদা, ফ্যামিলি টাইসের নির্বাহী পরিচালক, খুজিস্তা বেগম জোনাকী, ব্র্যাক জেলা সমন্বয়কারী, শফিকুল ইসলাম, পপির জেলা সমন্বয়কারী,মোঃ ফরিদুল আলম প্রমুখ। সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সখার শাখার সহকারী কমিশনার মাহমুদুল হাসান, বালাদেশ আনসার ও ভিডিপির সার্কেল এডজুট্যান্ট মো: মিজানুর রহমান ভূইয়া, মায়া ভৌমিক, এডভোকেট হামিদা বেগম প্রমুখ।