দিনাজপুরের খানসামায় বিদ্যালয়ের জমিতে নিজের বসতবাড়ি তৈরীর অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় উপজেলার টংগুয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সতীশ চন্দ্র রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী রহিদুল ইসলাম ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি গোলাম রব্বানী, চিত্তরঞ্জন রায় ও মহিউদ্দিন নামে দুজন অভিভাবক গত ২৭ আগস্ট প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত প্রতিবেদনে প্রধান শিক্ষক দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাকে তিরস্কার ও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান সভাপতি মোঃ তাজ উদ্দিন জানান, প্রধান শিক্ষকের সাময়িক বরখাস্তের পর ওই বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক আমিনুল ইসলাম শারীরিক অসুস্থতার কারনে দায়িত্ব গ্রহনে অপারগতা প্রকাশ করায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে পরবর্তি জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মোঃ আনিছুর রহমানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অভিযোগকারীগন বলেন- প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার সময় নীলফামারী জেলার দুকুড়ী এলাকার হরেকচাঁদ ব্রজবাসী নামক জনৈক ব্যাক্তি তাঁ পৈত্রিকসুত্রে পাওয়া জমিটি প্রতিষ্ঠানের নামে দলিলমূলে রেজিষ্ট্রি করে দেন। সেখানে খেলার মাঠ ছিল। কিন্তু প্রধান শিক্ষক অন্য ওয়ারীশের কাছে দুরভিসন্ধিমূলক ভাবে নিজের নামে ওই জমিরই ৪৮ শতাংশ জমি রেজিষ্টি করে নেন। গত ৫ আগস্ট এর পরবর্তিতে সময়ে আধা পাঁকা বাড়ি ও দোকানঘর নির্মাণ করে দোকানঘর ভাড়া দেন। এ ছাড়াও বিদ্যালয়ের জমি ও পুকুর নিয়ম ছাড়াই গোপনে লীজ দেন। ফলে আমরা সুবিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবওে অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগের বিষয়ে বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক সতীশ চন্দ্র রায় বলেন-নিয়ম মেনেই জমি রেজিষ্ট্রি করে নিয়েছিলাম। আর কোন কথা বলতে তিনি রাজী হননি।