চাষি পর্যায়ে উন্নত মানের বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের রাজস্ব খাতসহ বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ৭৬ টি রোপা আমন ধানের উৎপাদন প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে। এতে জমির পরিমান হচ্ছে ৩৭.৭৬ একর।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি বিভাগ এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, চাষি পর্যায়ে উন্নত মানের রোপা আমন ধানের বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ২০২৩-২০২৪ রাজস্ব খাতের আওতায় ২০ টি রোপা আমন ধানের প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে। এসব প্রদর্শনী স্থাপনের জমির পরিমান হচ্ছে ৬.৬ একর। ফ্রিপ প্রকল্পের আমন ধানের প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে ৪৫টি। এরমধ্যে ব্রি-ধান ৭৫ জাতের ১৩টি ও ব্রি-ধান ১০৩ জাতের ৩২টি। প্রদর্শনী স্থাপনের জমির পরিমান হচ্ছে ১৪.৮৫ একর। এ ছাড়া ফ্রিপ প্রকল্পের রাজস্ব খাতে মাইজখাপন ও লতিবাবাদে দুটি প্রদর্শনী রয়েছে। এ দুটি প্রদর্শনী স্থাপনের জমির পরিমান হচ্ছে ১০ একর। পার্টনার প্রকল্পের দুটি প্রদর্শনী রয়েছে। একটি মহিনন্দ ব্লকে আরেকটি মাইজখাপন ব্লকে। দুটি প্রদর্শনী স্থাপনের জমির পরিমান হচ্ছে ৪ একর। বৃহত্তর ময়মনসিংহ প্রকল্পের আওতায় সদরে ব্রি-ধান ১০৩-৭৫ ও বীনা ১৭ জাতের ৭টি প্রদর্শনী রয়েছে। প্রতিটি প্রদর্শনীতে ১ বিঘা করে ২.৩১ একর জমিতে এ জাতের ধানের প্রদর্শনী করা হয়েছে। সর্ব মোট উপজেলায় ৩৭.৭৬ একর জমিতে ৭৬টি প্রদর্শনী মাঠে বিদ্যমান রয়েছে।
চাষি পর্যায়ে উন্নত মানের বীজ উৎপাদনের জন্য চাষিদের উন্নত মানের বীজ, সার ও বীজ সংরক্ষণের জন্য সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে কৃষকদের উপকরণ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ সদরে এসব প্রদর্শনীর চাষীদেরকে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উপকরণ বিশেষ করে বীজ, সার, ড্্রাম, রুগীং ও বালাইনাশক প্রদান করা হয়েছে।
বিএডিসি বীজের পাশাপাশি কৃষক পর্যায়ে বীজ উৎপাদনের ফলে এ উপজেলায় ধান, পাট ও গম চাষের জন্য বীজের চাহিদা মিটিয়ে জেলার বাইরে সরবরাহ করা হয়ে থাকে বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দায়িত্বশীলগণ। এসব প্রদর্শনী প্রদর্শিত হওয়ার ফলে কৃষকরাও উপকৃত হয়েছে। বিশেষ করে উন্নত প্রদর্শনী করার কারণে কৃষকরা আমন ধানের ফসল সংগ্রহ করার পরে সেসব জমিতে শরিষা আবাদের সহায়ক হবে। কৃষকদের অন্যন্যা জাতের জমির ধান সংগ্রহ করার আগেই কৃষি বিভাগের এসব প্রদর্শনীর ধান মাড়াই করবেন বলে চাষীরা উৎফুল্লিত দেখা গেছে। এতে করে প্রদর্শনীর চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে। আমনের নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধে প্রাণ জুড়িয়ে যাবে। তারা এসব প্রদর্শনী আরও বৃদ্ধি করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাহিমা আক্তার ফাহিম বলেন, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের রাজস্ব খাতসহ বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ৭৬ টি রোপা আমন ধানের বীজ উৎপাদন প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে। যথা সময়ে প্রদর্শনীর চাষীদেরকে প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রদান করা হয়েছে। প্রদর্শনীর ৩৭.৭৬ একর জমিতে প্রায় ৬৭.৯৬ মে.টন ধান উৎপাদন হবে বলে আশা করছি।