ঢাকা বিভাগীয় ভূ-সম্পদ কর্মকর্তা (নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) আসাদুজ্জামান বলেছেন,গত ২১অক্টোবর ময়মনসিংহ রেলওয়ের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় প্রটোকল হিসেবে সঙ্গে ছিলেন পুলিশ সদস্য। তাদের নিরাপত্তায় এস্কেভেটর দিয়ে রেলওয়ে মসজিদ সংলগ্ন দোকান ভাঙার সময় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে জনতা। একপর্যায়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং জনতার ধাওয়ায় পুলিশ সদস্যরা জীবন বাঁচাতে পেছন থেকে নিরাপদস্থানে সরে যায়। পেছনে ফিরে দেখি উচ্ছেদকারীর অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল ছেড়ে দৌড়ে নিরাপদে চলে যান। ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান বলেন,আমি চারিদিকে তাকিয়ে দেখি আমার পাশে বিক্ষুদ্ধকারী ছাড়া আর কেউ নেই। এ সময় তাকিয়ে দেখি এস্কেভেটর চালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর ও ভেকু ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় সেনাবাহিনীকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। আসাদুজ্জামান জানান,সেনাবাহীনির সহায়তায় বেঁচে ফিরে আসছি। রোববার প্রশাসনিক ভবনে নিজ দপ্তরে একান্ত এক সাক্ষাকারে প্রতিবেদকে এসব কথা বলেন তিনি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান,অন্তবর্তী সরকার ক্ষমতায় থাকলেও ভূমিদস্যুরা দলীয় তা-ব চালিয়েছে। সরকার কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে রেলওয়ের দখল করা জমি দখলবাজদের হাত থেকে উদ্ধার করা সম্ভব নয়। দুবৃত্তদের তা-ব লক্ষ্য করে তিনি মনে করছেন অদৃশ্য দলীয় কোন পরাশক্তি এর পেছনে কাজ করছে। রাজনৈতিক প্রভাব না থাকলে তা-বকারীরা সরকারী কাজে বাঁধা দেয়ার সাহস পায় কিভাবে। পরাশক্তিকে কঠোর হাতে দমন করা না গেলে কোনভাবেই রেলের জমি উদ্ধার করা সম্ভব না। আসাদুজ্জামান বলেন এপর্যন্ত ঢাকাসহ ৫টি স্টেশনের আশপাশে দখলকৃত জমি উচ্ছেদ করা হয়েছে। রাজধানীর বাইরে আঁখাউড়া,নরসিংদী জয়দেবপুর অভিযান চালিয়ে মুক্ত করা হয়েছে রেলওেয়ের জমি। গত ১৬ অক্টোবর বিমানবন্দর এবং মালিবাগ এলাকা দখল করা স্থাপনা দোকানপাট ভেঙে চুঁড়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। গত ২১ অক্টোবর ময়মনসিংহ স্টেশন এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে এমন তা-ব লীলার মুখে পরতে হয়েছে। ময়মনসিংহে দুবৃত্তদের তা-বের ঘটনা বর্ণনা করে ভু-সম্পত্তি কর্মকর্তা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলে সাময়িক উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ রাখার পরামর্শ দেন বলে জানিয়েছেন ডিইওর দপ্তর।