নওগাঁর মহাদেবপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বাড়িঘরে হামলা করে মারপিট, ভাংচুর, গাছগাছালী কেটে বিনষ্ট ও লুটতরাজের অভিযোগ করা হয়েছে। মারামারিতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। থানা পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত একপক্ষের মামলা এন্ট্রি করে প্রতিপক্ষের একজনকে আটক করেছে, কিন্তু অপরপক্ষের মামলা আমলে নেয়নি। গত শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকাল থেকে সারাদিন এই ভাংচুর, গাছকাটা প্রভৃতি সংঘটিত হয়। শনিবার সেনবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
রোববার বিকেলে সরেজমিনে ওই এলাকায় গেলে স্থানীয়রা জানান, ওইগ্রামের মৃত আমিন মন্ডলের দুই ছেলে মো: মঞ্জু ও রমজান আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বাড়িভিটার জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। শুক্রবার সকালে এনিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মারামারির সূত্রপাত ঘটে। এ সময় একদল মানুষ লাঠি, লোহার রড, দা, হাসুয়া প্রভৃতি অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিরোধীয় জমির উপর থাকা বাড়িঘর ভাংচুর, অসংখ্য গাছগালালী কেটে বিনষ্ট করে। মো: মঞ্জু পক্ষ জানান, প্রতিপক্ষরা শতাধিক ভাড়াটিয়া লাঠিয়াল এনে তার দখলীয় সম্পত্তির উপর থাকা বাড়িঘর ভাংচুর করে, শতাধিক বিভিন্ন প্রকার গাছ কেটে ও কলাবাগানের ফলন্ত গাছ কেটে বিনষ্ট করে। তাদের হামলায় আবু রাইহান, সাহিদ, সেকেন্দার আলী, এবাদত আলী, মো: জিন্নাহ, ফাহিম উদ্দিন প্রমুখ আহত হয়েছেন। প্রতিপক্ষদের ভয়ে তারা এখন তাদের বাড়িতে যেতে পারছেন না। তারা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এ ব্যাপারে মঞ্জুর ছেলে রাইহানের স্ত্রী মারজিয়া খানম বাদি হয়ে প্রতিপক্ষ রনি, নজরুল, মোজাহার, খালেক সরদার, শাহীন হোসেন, বিমান হোসেন, আবদুর রহিম, বাবুল হোসেন, মিলন হোসেন, আবদুর রাজ্জাক ও রমজান হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে গরু, ছাগল, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটেরও অভিযোগ করা হয়। কিন্তু এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তা থানায় এন্ট্রি হয়নি।
অপরদিকে রমজান হোসেন পক্ষ জানান, তার ভাই মঞ্জু তাকে তার বাড়ির জায়গা ছেড়ে দিয়ে মঞ্জুর বাড়ির সামনে তার দখলে থাকা বিরোধীয় জমিতে বাড়ি করতে বলেন। তিনি রাজি না হলে তাকে উচ্ছেদের চেষ্টা করে। এসময়ম মঞ্জুর লোকেদের হামলায়, রনি, ছনি, মিনা, ইনতাজসহ অনেকে আহত হন। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। থানা পুলিশ মঞ্জুকে আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। স্থানীয়রা জানান, বিরোধীয় জমির মালিকানা যারই হোক না কেন সে জমির উপর থাকা বাড়িঘর ও অসংখ্য গাছগাছালী কেটে বিনষ্ট করা বেআইনী হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দাবি জানান তারা।