পাবনার সুজানগরের হাট-বাজারে আলুর দাম আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজারে প্রতিকেজি আলু ৭০টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে নিম্ন এবং মধ্য আয়ের মানুষের পক্ষে আলু কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
সরেজমিন খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, গত ২/৩দিন আগেও উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজারে প্রতিকেজি আলু ৫৫ থেকে ৬০টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। অথচ মাত্র ২/৩দিনের ব্যবধানে বর্তমানে উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজারে প্রতিকেজি আলু ৭০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের দিনমজুর আবদুল মজিদ বলেন হাট-বাজারে বেশিভাগ সময় বেগুন, পটল, করলা, কচু এবং ঝিঙেসহ অন্যান্য সবজি দাম বেশি থাকলেও আলুর দাম কম থাকে। বিশেষ করে আলু সব সময় গরীব মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে। কিন্তু বর্তমানে হাট-বাজারে অন্যান্য সবজির চেয়ে আলুর দাম চড়া। উপজেলার মানিকদীর গ্রামের ভ্যান চালক আবদুল লতিফ বলেন বর্তমানে হাট-বাজারে চালের চেয়েও আলুর দাম মাত্রাতিরিক্ত চড়া। স্থানীয় হাটা-বাজারে এখনও প্রতিকেজি মোটা চাল ৪৫ থেকে ৫০টাকা দরে পাওয়া যায়। কিন্তু হাটবাজারে প্রতিকেজি আলু ৬০ থেকে ৭০টাকার কমে পাওয়া যায়না। এতে নিম্ন এবং মধ্য আয়ের মানুষের পাশাপাশি সচ্ছল পরিবারের পক্ষেও আলু কেনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগী ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন বাজারে প্রচুর পরিমাণে আলু থাকা সত্ত্বেও কতিপয় অসাধু আলু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার জন্য ৫০ টাকা কেজির আলু ৭০টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। তবে হাট-বাজারের খুচরা সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন আলুর দাম বৃদ্ধির জন্য আমরা দায়ী নয়। এক শ্রেণির সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা আড়তে আলুর কৃত্রিম সংকট তৈরী করায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন কেউ হাট-বাজারে আলুর কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে কিংবা অধিক মুনাফার আশায় চড়া দামে বিক্রি করলে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।