ফরিদপুরের নগরকান্দায় মুক্তা আক্তার (৩৫) নামের এক গৃহবধূর গলা কাটা রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের শ্রীরামদিয়া গ্রামে গৃহবধূর নিজ বাড়ীর রান্না ঘরে গলা কেটে নৃশংসনীয় ভাবে হত্যা করা হয় তাকে। গৃহবধূ উপজেলার শ্রীরামদিয়া গ্রামের আরিফ চৌধুরীর স্ত্রী ও তিন সন্তানের জননী। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানা যায়, ভোরে পাচু শেখ (৪০) নামে এক প্রতিবেশী গোংরানির আওয়াজ শুনে নিহতের স্বামী আরিফ চৌধুরীকে ডেকে উঠান। পরে বাড়ীর রান্না ঘরে কাউকে শুয়ে থাকতে দেখে তাদের সন্ধেহ হয়। পরে দেখতে পায় নিহত ব্যক্তিটি আরিফ চৌধুরীর স্ত্রী মুক্তা আক্তার। এদিকে নিহতের স্বামী আরিফ চৌধুরী (৪৫) বলেন প্রতিদিনের মতো আমরা এ কী সাথে ঘুমাতে যাই রাত দুটোর সময় আমার সন্তানের কান্নাকাটিতে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলে দেখি আমার স্ত্রী মুক্তা আক্তার সন্তানকে দুধ খাওয়াচ্ছে আমি পরবর্তীতে আবার ঘুমিয়ে যাই। সকালে আমার এক প্রতিবেশীর ডাকা ডাকিতে আমার ঘুম ভাঙ্গে। তখন আমার স্ত্রীকে আমার পাশে দেখতে পাই নাই। সে সময় প্রতিবেশী আমার কাছে জানতে চান কুকুরের গুংরানীর আওয়াজ কোন জায়গা থেকে আসে তখন আমি তাকে বললাম বাইরে মুক্তা আছে। তাকে জিজ্ঞাস করেন। কিন্তু তখন আমার স্ত্রীকে অনেক ডাকাডাকি করেও কোন সাড়া না পেয়ে সন্ধেহ হয়। একপর্যায়ে রান্না ঘরে গেলে দেখতে পাই গলা কাটা রক্তাক্ত অবস্থায় আমার স্ত্রীর নিথর দেহটি পরে আছে। এ সময় নিহতের স্বামী আরিফ চৌধুরী আরো দাবী করেন আমার স্ত্রী মুক্তা আক্তারকে যখন পাওয়া যায় তখনো তিনি জীবিত ছিল। আমি আমার ভাইদের ডেকে তাকে বাচানোর জন্য আকুতি করি। এরপর এ্যাম্বুলেন্স যোগে দ্রুত তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুক্তার অবস্থা আশংকাজনক দেখলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রেফার্ট করা হয়। তখন ঢাকা নেওয়ার পথে বখুন্ডা এলাকায় পৌছালে আনুমানিক সকাল নয়টা দিকে তিনি মারা যান। এদিকে গৃহবধূর নিহতের ঘটনা নিশ্চিত করে সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) আসাদুজ্জামান শাকিল কালবেলাকে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। কে বা কারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তা এখনো যানা যায়নি। নিহতের মরাদেহ উদ্ধার করে সুরেতহালের জন্য পাঠানো হয়েছে। যথযথ তদন্তের জন্য আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। নিহত মুক্তা আক্তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে যান। তিনি গত বিশ বছর আগে পারিবারিক সম্মতিতে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল বাশার চৌধুরীর আপন ভাই আরিফ চৌধুরী স্ত্রী হয়ে তার ঘরে আসে।