বর্ষা মৌসুমের শেষ সময়ে এসে পাবনার সুজানগরে পদ্মা নদীতে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারন করেছে উপজেলার সাতবাড়ীয়া ইউনিয়ন এলাকায়। উপজেলার সাতবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে পদ্মা নদীর পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে ওই ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর, নারুহাটি, শ্যামনগর এবং সাতবাড়ীয়া এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভয়াবহ ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে সাতবাড়ীয় কাঞ্চন পাকর্, পদ্মা রিসোর্ট ও সাতবাড়ীয়া খেয়াঘাট। পদ্মাপাড়ের নারুহাটি গ্রামের খলিলুর রহমান বলেন পদ্মা নদীর ভাঙ্গনে কাঞ্চন পাকর্, পদ্মা রিসোর্ট ও সাতবাড়ীয়া খেয়াঘাট ছাড়াও প্রতিদিনি শত শত বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ইতঃপূর্বে বর্ষার ভরা মৌসুমে সাতবাড়ীয়া ও নিশ্চিন্তপুরসহ আশপাশের এলাকার হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পদ্মাপাড়ের নিশ্চিন্তুপুর গ্রামের আজাহার আলী বলেন গত ৫/৭দিন হলো পদ্মার বড় বড় ঢেউ আর প্রচণ্ড স্রােতের তোড়ে পদ্মা নদীর চরাঞ্চলের শত শত বিঘা জমি ভেঙ্গে যাচ্ছে। ওই সকল জমিতে এলাকার কৃষক চিনা বাদাম এবং তিলসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল আবাদ করতেন। কিন্তু ওই সকল জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন। নদীপাড়ের বাসিন্দারা বলেন নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার ফলে এই ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে এই ভাঙ্গন অব্যাহত থাকবে বলে পদ্মাপাড়ের ভুক্তভোগী বাসিন্দারা মনে করেন। এ ব্যাপারে পাউবো বেড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন ভাঙ্গন প্রতিরোধে ওই সকল এলাকায় জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। প্রয়োজনে সিসি ব্লকের বাঁধ নির্মাণ করা হবে।