ছাত্র-জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ জিয়াউর রহমান এর বড় ভাইয়ের নাম ব্যবহার করে কে বা কারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের কথিত এজাহার তৈরি করেছেন। কথিত এজাহার দেখিয়ে একটি চক্র বিভিন্ন জনকে ফোন করে গ্রেপ্তারের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মুনাফা অর্জন করছে বলে শহীদের বড় ভাই ওয়াজেদুর রহমান অভিযোগ তুলেছেন। দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার ৬ নং ভান্ডারা ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামে শহীদ জিয়াউর রহমান এর গ্রামের বাড়ি। তিনি ঢাকায় একটি পোষাক শিল্পে কাজ করতেন। স্ত্রী, ১ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে ছিল তাঁর সুখের সংসার। সম্প্রতি শহীদ জিয়াউর রহমান এর বড়ভাই ওয়াজেদুর রহমান কথিত এজাহার বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার পতনের এক দফা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢাকা মেট্রোপলিটনের উত্তর পূর্ব থানা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে জিয়াউর রহমান গুরুত্বর আহত হন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ আগস্ট শেষ নিঃশ্বস ত্যাগ করেন তিনি। শহীদ জিয়াউর রহমান এর পরিবারের পক্ষে এ পর্যন্ত কোন মামলা করা না হলেও একটি কু-চক্রি মহল অফিসার ইনচার্জ, উত্তর পুর্ব থানা, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা বরাবর দেখিয়ে কে বা কারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সাবেক মন্ত্রী ও এমপি এবং কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসহযোগি সংগঠনের ১৬৫ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ থেকে ২০০ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কথিত একটি এজাহার তৈরি করে। কথিত ওই এজাহার নামীয় আসামি ও অজ্ঞাতনামা আ.লীগ ও অঙ্গসহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে চক্রটি ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে। এমনকি স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মী ফোনে এজাহারের বিষয় সম্পর্কে অবগত করান। অনেকে আবার মামলা এবং গ্রেপ্তার থেকে রেহাই পেতে চক্রটির খপ্পরে পরে আর্থিকলেনদেন করেছেন বলেও কথিত এজাহারের বাদি ওয়াজেদুর রহমানকে অনেকে অভিযোগ করে বলেন। কথিত এজাহার নিয়ে দিনাজপুর ও বিরল উপজেলায় ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। শহীদ জিয়াউর রহমান এর বড় ভাই ওয়াজেদুর রহমান তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে কথিত মুনাফা অর্জনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জোড় দাবি জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন একটি শহীদ পরিবারকে নিয়ে কারো ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের অপচেষ্টা অত্যন্ত দুঃখজনক।