অন্যান্য বছরের মতো এবছর ও ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে পৌরসখা ও ১১ টি ইউনিয়নে ১০১টি পুজা মন্ডরে শারদীয় দূর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হবে।প্রতিটি মন্ডপে শেষ সময়ে চলছে দুর্গা পূজার আয়োজন।
সরকারি হিসাব মতে,এ বছর উপজেলায় মোট ১০১টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিমা নির্মানের কাজ শেষ করেছেন মৃতশিল্পিরা। মৃত শিল্পী ভাংগা এলাকার গোপাল কুমার বলেন অন্যান্য বছরের মতো এবছরও প্রতিমার আকার ও আয়তন ঠিক রেখেই প্রতিমা নির্মাণের কাজ শেষ করা হয়েছে। দো-মাটির কাজও শেষ করা হয়েছে। এখন রং তুলির আঁচরে ফুঁটিয়ে তুলছেন ফরিদপুর এলাকার নিল কুমার প্রতিমার সৌন্দর্য্য।
সরকারি হিসাব মতে কালীগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় ২১টি পুজা মন্ডবে পুজা অনুষ্ঠিত হবে। অপরদিবে সুন্দরপুর দূর্গাপুর ইউনিয়নে ৫ টি মন্ডবে, জামাল ইউনিয়নে ৬টি,কোলা ১৪টি, নিয়ামতপুর ৭টি,সিমলা রোকনপুর ইউনিয়নে ২টি, ত্রিলোচানপুর ইউনিয়নে ৮টি,রায়গ্রাম ইউনিয়নে ৮টি, মালিয়াট ইউনিয়নে ৫টি,বারোবাজার ইউনিয়নে ১১ টি,কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নে ১২ টি, রাখালগাছি ইউনিয়নে ২টি মন্ডবে পুজা অনুষ্ঠিত হবে।সবচেয়ে বেশি পুজা অনুষ্ঠিত হবে পৌরসভা এলাকায় ২১ টি, কোলা ইউনিয়নে ১৪টি, কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নে১২ টি এবং বারোবাজার ইউনিয়নে ১১ টি মন্ডবে পুজা অনুষ্ঠিত হবে।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচাজ মোহাম্মদ আবু আজিফ ওসি বলেন, সনাতন ধর্মাবোলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজার সময় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে ইতোমধ্যে সবধরনের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।পঞ্জিকা মতে, বুধবার (২ অক্টোবর) মহালয়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মর্তলোকে বেঁজে উঠবে দেবীর আগমনী বার্তা। আগামী ৮ অক্টোবর দেবীর বোধন, ৯ অক্টোবর ষষ্ঠী পুজার মধ্যদিয়ে দেবীর দুর্গার নবপত্র কল্পারম্ভ, ওইদিন মন্ডপে মন্ডপে বেঁজে উঠবে ঢাক-ঢোল আর কাঁসরের বাজনার শব্দ। ১০ অক্টোবর মহাসপ্তমী পূজা, ১১ অক্টোবর দেবীর মহাঅষ্টমী পূজা, ১২ অক্টোবর মহানবমী পূজা শেষে ওইদিন রাতে দশমী বিহিত পূজা সমাপনান্ডে দেবী বিসর্জণের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হবে বিজয়া দশমী।