দিনাজপুরের কাহরোল উপজেলার ৫নং সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভিজিডি কার্ডের চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মানিক। কাহরোল উপজেলার ৫ নং সুন্দরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মানিকের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই অভিযোগ করেছেন বঞ্চিত ভিজিএফ কার্ডধারীরা। অভিযোগ পাওয়ার পর জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। অপরদিকে এই নির্দেশনা পাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। জেলা প্রশাসক বরাবর দেয়া দুটি অভিযোগ থেকে জানা যায়,কাহরোল উপজেলার ৫ নং সুন্দরপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ৩৮৪ নং ভিজিডি কার্ডধারী রিক্তা আক্তার, ৩৮১ নং ভিজিডি কার্ডধারী মোছাঃ নাজমা বেগম ও কল্পনা রানী রায়,(কার্ড নং পাওয়া যায়নি) ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ২৪০ নং ভিজিডি কার্ডধারী মোছাঃ আমেনা বেগম, ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ১৬৬ নং ভিজিডি কার্ডধারী মোস্তারিনা খাতুন, ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ৯৯ নং ভিজিডি কার্ডধারী মোছাঃ বেবী আক্তার গত ৮ সেপ্টেম্বর এবং ৩৬ নং ভিজিডি কার্ডধারী মঞ্জুআরা,৪২ নং ভিজিডি কার্ডধারী রুবী রানী দাস, ১৯১ নং ভিজিডি কার্ডধারী নাজমা, ৭০ নং ভিজিডি কার্ডধারী ছাদেকা, ২৫৫ নং ভিজিডি কার্ডধারী মরিয়ম, ৩৬৩ নং ভিজিডি কার্ডধারী আলতাফুন, ৩৮৯ নং ভিজিডি কার্ডধারী সিতারানী, ৪১৩ নং ভিজিডি কার্ডধারী আয়শা খাতুন ও ৩৯৭ নং ভিজিডি কার্ডধারী রেহানা খাতুন অভিযোগকারী। তাদের নামে ভিজিডি কার্ড রয়েছে। যা গোপান রাখা হয়। পরে তারা জানতে পারেন তাদের নামে কার্ড রয়েছে। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের জন্য তারা ভিজিডির জন্য তালিকা ভ’ক্ত হয়েছে। তাদের চাল গুলো চেয়ারম্যান তুলে নিচ্ছেন। বিষয়টি জানার পর তারা একাধিকবার চেয়ারম্যানের কাছে গেলেও চেয়ারম্যান তাদেরকে কার্ড ও চাল দেননি। এতে তারা বাধ্য হয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন। দুটি অভিযোগ পাওয়ার পর জেলা প্রশাসন অফিসের স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় শাখা থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাহারোলউপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি নির্দেশনা পাওয়ার পর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে প্রধান করে একটি তদন্ত টীম গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। এ ব্যাপরে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ শাহীন রানাকে তদন্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তিনি তদন্ত করছেন বলে আমাদের প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন। তদন্ত কমিটিকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এ ব্যাপরে জানতে চাইলে রিতা আক্তার ও বেবী আক্তার বলেন,আমরা আবেদন করার পর আমাদের নামে ভিজিডি কার্ড ইস্যু হয়। আমাদের কার্ড গুলো চেয়ারম্যান নিয়ে আসেন। তিনি তার কাছে রেখে দেন। আমরা গেলে তিনি জানান যে আমরা নাকি চাল পাবনা। কিন্তু তিনি আমাদের নামে চাল গুলো তুলছেন। পরে বাধ্য হয়ে আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছি। অনেকে ভয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেনা।অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মানিকের কাছে অভিযোগের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি তার বিষয়ে আনিতো অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রতিপক্ষরা তার বিরুদ্ধে বদনাম করার জন্য এ কাজ করাচ্ছেন। তাছাড়া যারা অভিযোগ করেছেন তারা কেউ তার কাছে যায়নি। আবার তারা অনেকে জানেই না তাদের নামে ভিজিডি কার্ড রয়েছে। অনেক কার্ড মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কাছে জমা রয়েছে। এ ব্যাপরে জানতে চাইলে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফসানা মোস্তারী বলেন, আমাদের কাছে কোন কার্ড জমা নেই। কেন ভিজিডির কার্ডধারী চাল পাঁচ্ছেনা তা চেয়ারম্যান বলতে পারবেন।