ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর মহাসচিব জননেতা শায়খুল হাদিস অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর বলেছেন, সর্বপ্রকার বৈষম্য, দুর্নীতি তথা যাবতীয় অন্যায়-অসংগতির বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার সফল বিপ্লব সংঘটিত হলেও অদ্যাবধি এর কোন ইতিবাচক পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করছে না জনগণ। রাজনৈতিক পট পরিবর্তন পরবর্তী প্রায় ২ মাস অতিক্রান্ত হলেও বিচার বহির্ভূত খুন, মসজিদণ্ডমাদ্রাসা, মাজার, মন্দিরে হামলা-ভাংচুরের মতো গর্হিত কর্মকান্ডের বিস্তৃৃতি ঘটছে প্রতিনিয়ত। সংস্কারের অন্তরালে সম্মানিত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করা, পিটিয়ে খুন করার মত ন্যাক্কারজনক কর্মকা- তো থামছেই না। যা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক। কেবল রাষ্ট্র সংস্কার নয়, নিজেদের সংস্কারও জরুরী বলে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়নতা জাতীয় জীবনে কখনো শুভ ফলদায়ক নয়, বরং তা সামাজিক সুস্থতা ও স্থিতিশীলতার অন্যতম অন্তরায়। এ ছাড়া ব্যাংকিং সেক্টরে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় ক্ষমতার আওতায় আনাসহ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আন্তরিক দায়িত্বশীলতার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী সুন্নীয়তের ভবিষ্যত রাজনৈতিক কর্মপন্থা নির্ধারণ" শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপর্যুক্ত মন্তব্য করেন।
ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সভাপতি রাজনীতিবিদ স ম হামেদ হোসাইন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর মহাসচিব শায়খুল হাদিস অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইর। বিশেষ অতিথি দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আল্লামা এস এম ফরিদ উদ্দীন, মাওলানা কাজি জসিম উদ্দিন, অধ্যক্ষ এম ইব্রাহীম আখতারী, আল্লামা ছালেহ আহমদ আনছারী, লায়ন মোহাম্মদ রফিক কোম্পানি ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সচিব অধ্যাপক ছৈয়দ হাফেজ আহমদ। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম নগর সভাপতি আলহাজ্ব এইচ এম মুজিবুল হক শাকুর। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সভাপতি অধ্যক্ষ ছৈয়দ মাওলানা জসিম উদ্দিন তৈয়বী।
এম কফিল উদ্দীন রানার সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাস্টার নুরুল আজিম, স ম শহিদুল হক ফারুকী, অধ্যক্ষ আল্লামা মুজিবুর রহমান, মাওলানা জাকের আহমদ সিদ্দিকী, মাওলানা মোহাম্মদ মুছা, ব্যাংকার হাফেজ মাওলানা ছালামত উল্লাহ, মাওলানা ছৈয়দ রফিকুল ইসলাম তাহেরী, অধ্যক্ষ মাওলানা রফিকুল ইসলাম নেজামী, অধ্যক্ষ মাওলানা জয়নাল আবেদীন জিহাদী, মাওলানা ওয়াহেদ মুরাদ, মাওলানা এ এম মঈনউদ্দীন চৌধুরী হালিম, স ম শওকত আজিজ, ডা. হাসমত আলী তাহেরী, পীরজাদা এরশাদ উল্লাহ রজায়ী, অধ্যাপক শহিদুল্লাহ সাদা, মাওলানা মোজাম্মেল হোসাইন, মাওলানা মহিউদ্দিন তাহেরী, অ্যাডভোকেট ফেরদৌস আলম সেলিম, মাওলানা জিয়াউল হক বিপ্লবী, কাজী মাওলানা জাকের হোসাইন আনসারী, কাজী আহসানুল আলম, এস এম আবু ছাদেক ছিটু, ফরিদুল হক, ইঞ্জিনিয়ার রাসেদুল ইসলাম রাসেল, আবদুল্লাহ আল মুমিন, মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম ও মাসরুর রহমান প্রমূখ।