মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেয়ায় অবসরপ্রাপ্ত দুই সেনা সদস্যকে দুই দফায় পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। গুরুত্বর অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ীর ঘরে অভিযান চালিয়ে ফেনসিডিল, মাদক বিক্রির টাকা ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধারসহ মেঘা বিশ্বাস নামের এক নারী মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রোববার দিবাগত রাত নয়টার দিকে জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা বাজারে। আহতরা হলেন-উপজেলার কালুপাড়া গ্রামের শাহ আলম বালীর ছেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য জাহিদুল ইসলাম (৪৫) ও তার ভাই জাকিরুল আলম (৩৯)। সোমবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য জাহিদুল আলম অভিযোগ করে বলেন, বাড়ির পাশ্ববর্তী রাজ্জাক সরদারের বাসার ভাড়াটিয়া রোকসানা বেগম ও তার দুই ছেলে নাফিজুল ইসলাম ও পিয়াল সরদার দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় মাদক বিক্রি করে আসছিলো। তাদের মাদক বিক্রিতে বাঁধা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে রোববার দিবাগত রাতে রোকসানা ও তার দুই ছেলে নাফিস ও পিয়াল হামলা চালিয়ে পিটিয়ে আমার পা ভেঙ্গে দেয়। স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে দ্বিতীয় দফায় আমার ওপর হামলা চালানো হয়য়। এ সময় আমার অপর ভাই সেনা সদস্য জাকিরুল ইসলাম (এলপিআর) আমাকে রক্ষায় এগিয়ে আসলে তাকেও কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে নাফিস ও পিয়াল।
অভিযোগ করে তিনি আরও বলেন, আমাদের আহত দুই ভাইকে উদ্ধার করে আগৈলঝাড়া উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেও হামলার চেষ্টা চালায় মাদক ব্যবসায়ীরা। পরে হামলা থেকে রেহাই পেতে রাতেই পরিবারের সদস্যরা আমাদের গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত রোকসানা বেগম ও তার দুই ছেলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তা বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। আগৈলঝাড়া থানার ওসি মোঃ আলম চাঁদ জানান, হামলার খবর পেয়েই রাতেই সেনা ও পুলিশ সদস্যরা যৌথভাবে অভিযুক্তদের ঘরে অভিযান চালিয়ে ফেনসিডিল, মাদক বিক্রির টাকা ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধারসহ মেঘা বিশ্বাস নামের এক নারী মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে। ওসি আরও জানান, হামলার ঘটনায় সোমবার সকালে থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি মাদক উদ্ধারের ঘটনায় রোববার রাতে আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মেঘা বিশ্বাসকে সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।