ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় বড় ভাইরা ভাইয়ের সংঘবদ্ধ হামলার শিকার হয়ে ছোট ভাইরা ভাই রাকিব শিকদার (২২) মারা গেছে। ঘটনার তিনদিন পর শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছোট ভাইরা ভাই রাকিব শিকদার মারা যায় বলে জানা গেছে। নিহত রাকিব শিকদার উপজেলা সদর ইউনিয়নের এমপি ডাঙ্গী গ্রামের মকদুম শিকদারের ছেলে। এ হামলার শিকার নিহতের অন্য দুই ভাই রিয়াজুল শিকদার ও সাকিব শিকদার একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হামলাকারী বড় ভাইরা উপজেলার চরহরিরামপুর ইউনিয়নের আমিনখার ডাঙ্গী গ্রামের শেখ আনিসের ছেলে আক্তার শেখ (৫০)। সে পারিবারিক কলহের জে¦র ধরে গত ২৩ সেপ্টম্বর সকাল সাড়ে ১১ টায় চরহরিরামপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীর বেপারীর ঘাট নামক স্থানে ছোট ভাইরা সহ তার অন্য দুই ভাইকে একত্রে পেয়ে আকস্মিক হামল্ াচালায়। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওই ভাইরা ভাই সংঘবদ্ধ দলসহ রাম দ্যা, মাছ মারা টেটা, লাঠী ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভাইরা ভাইদের উপর আকস্মিক হামলা চালায় বলে অভিযোগ। হামলাকারী অন্যরা হলেন-জিয়া বিশ্বাস (৫০), ছিদ্দিক বিশ্বাস (৫৫), নাজমুল শেখ (২২), সাগর মোল্যা (২২), আনোয়ার মোল্যা (২০), শেখ জাকির (৪০), শেখ সালাম (৪০) ও সবুজ খান (২০)। জানা যায়, ঘটনার দিন হামলাকারীরা মাছ মারা টেটা দিয়ে রাকিব শিকদারকে আঘাত করলে তার পেটের মধ্যে টেটা ঢুকে রক্তাত্ত জখম হয়। এ সময় আহতের অন্য দুই ভাই আহতকে বাঁচাতে গেলে হামলাকারীরা রাম দ্যা ও লাঠী দিয়ে তাদের আঘাত করে জখম করে। পরে আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়। কিন্তু শুক্রবার সকালে গুরুতর আহত রাকিব শিকদার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের পিতা মুকদুম শিকদার বাদী হয়ে চরভদ্রাসন থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয় নাই বলে জানা হেছে। মামলার এজাহারে প্রকাশ, প্রায় চার বছর আগে উপজেলার চরহরিরামপুর ইউনিয়নের হাজার বিঘা গ্রামের দুালাল খানের মেয়ে আন্না বেগমের সাথে রাকিব শিকদারের বিয়ে হয়। এ বিয়ের পর থেকেই তার বড় ভাইরা ভাই আক্তার শেখের সাথে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। পারিবারিক বিরোধের কারণে রাকিব শিকদার শ্বশুর বাড়ী আসা-যাওয়া বন্ধ রাখছিল। ঘটনার দিন রাকিব শিকদার ও তার দুই ভাই একই এলাকায় ফুফুর বাড়ীতে বেড়াতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। তারা ট্রলারযোগে পদ্মা নদী পার হওয়া মাত্র বেপারীর ঘাট নামক স্থানে হামলার শিকার হয় বলে জানা যায়। শুক্রবার বিকেলে চরভদ্রাসন থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল গাফ্ফার জানান, “এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। লাশ ফরিদপুর মর্গে আছে। আসামিরা গাঁ ঢাকা দিলেও তাদের গ্রেপ্তার চেষ্টা অব্যাহত আছে”।