চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর রেলস্টেশনের সংলগ্ন রেলের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার পর এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। অভিযান পরিচালনা করেন রেলওয়ের পাকসী বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা আবদুর রহিম। পরে বেলা দেড়টার দিকে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়ে উচ্ছেদ অভিযানে থাকা কর্মকর্তা। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। এ সময় উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ হয়ে যায়। অভিযানের সময় পুলিশ, রেলপুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপস্থিতির পাশাপাশি বিজিবি ও র্যাব ঘটনাস্থলে এসে হাজির হন। উচ্ছেদ অভিযানের পূর্বে রহনপুর স্টেশন মাস্টারের কার্যালয়ে শিক্ষার্থীসহ ব্যবসায়ী ও স্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে অভিযান পরিচালনা করেন তারা। অভিযান বন্ধ'র আগে প্রায় ৫০ টি দোকান ভেঙে উচ্ছেদ করা হয় বলে রেলওয়ের পাকসী বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা আবদুর রহিম জানান। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে রহনপুর রেলস্টেশনের পাশের এলাকায় রেলওয়ে সম্পত্তির ওপরে অবৈধভাবে স্থাপনা গড়ে উঠেছে। ইতোপূর্বে নোটিশ দেওয়ার পরও তারা স্থাপনা সরিয়ে না নেওয়ায় সেসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আজকে প্রায় দুইশতাধিক অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হতো। তবে প্রায় ৫০ টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। বৈধ ১৬টি দোকান আছে সেগুলো ভাঙতে হবে বলে শিক্ষার্থীরা জোর দাবি জানান। পরে ওই দোকানগুলো কাগজপত্র বাতিল করা হয়। বারোটার পর উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়ে দেড়টা পর্যন্ত চলে। পরে অন্যানা বৈধ ও অবৈধ দোকানগুলো ভাঙ্গার সময় হট্রগোল শুরু হয়। বেলা তিনটার দিকে উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ ঘোষনা করা হয়। পরবর্তীতে অভিযান পরিচালনা করা হবে। ব্যবসায়ী নেতা আশরাফুল ইসলাম আশরাফ জানান, রেলের পার্কিংযের জন্য সেটুকু জায়গা দরকার সেটুকু ভাঙ্গবে। কিন্তু কিছু উশৃংখল ছাত্ররা লীজ নেওয়া রেলের জায়গায় ভাঙ্গতে অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া কর্মকর্তাদের বাধ্য করে। মাইকিং করে আধা ঘন্টার মধ্যে সরে যেতে বলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যবসায়ী সহ সকলে। ব্যবসায়ী সুমন জানান, তাদেরকে নোটিশ না দিয়ে উচ্ছেদ করতে এসেছিল। তাই আমরা সকলে মিলে প্রতিবাদ করেছি। রহনপুর রেলবাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক নাজমুল হোদা খান রুবেল বলেন,। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রেলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ও কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে রেলের অবৈধ জায়গাগুলো তারা কবজায় নিচ্ছে। সারা দেশে এই অভিযান চলছে। তারা রেলের ডেভেলপ চাই। এদিকে তিনি ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের জনরোষে পড়েন। উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন- পার্বতীপুর রেলওয়ে বিভাগীয় প্রকৌশলী বীরবল মণ্ডল, রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হাসান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট জাকির মুনসি, রেলওয়ে কানুনগোসহ রেলওয়ে পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মীরা।