ডথানায় পুলিশ কর্মরত না থাকায় একটি হত্যায় লাশের ময়না তদন্ত ছাড়া দাফনের দেড় মাস পর আদালতের নির্দেশে ময়না তদন্তের জন্য পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় কবর থেকে একজনের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
পিরোজপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট মোঃ সাদিক আহম্মেদ এর এক আদেশে ভান্ডারিয়ার ভিটাবাড়িয়া থেকে সোমবার মো: রফিকুল ইসলাম মিঠু ফকির নামের এক ব্যক্তির লাশ উত্তোলন করা হয়। এ সময় পিরোজপুরের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট মোঃ তৌফিক আনোয়ার, ভান্ডারিয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ কামাল হোসেন, ভান্ডারিয়া থানার উপপরিদর্শক আবুল বাশার, ভিটাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান খান এনামুল করিম পান্ন উপস্থিত ছিলেন া।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ধারের টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ভান্ডারিয়ার ভিটাবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মোশাররফ ফকিরের ছেলে মিঠু ফকিরসহ বাশার তালুকদার, মো. ছালাম তালুকদার ও হাসিব তালুকদারকে ৫ আগস্ট রাতে কুপিয়ে আহত করে ওই এলাকার জেলা পাড়ার ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি দল। গুরুতর অবস্থায় মিঠুকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে ৬ আগস্ট রাতে সেখানে তার মৃত্যু হয়। থানায় পুলিশ ডিউটিতে নাথাকায় ৭ আগস্ট বিকেলে ময়না তদন্ত ছাড়াই তাকে তার গ্রামের বাড়ীতে দাফন করা হয় বলে জানান তার বোন নাজমা বেগম। নিহতের স্ত্রী মোসা: পলি আক্তার জানান, একই কারণে সে সময় থানায় মামলা করা সম্ভব হয়নি। পরে গত ১৬ আগস্ট তিনি বাদী হয়ে ভান্ডারিয়া থানায় ১৫৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন, যার নম্বর- ৪/১২২। মামলাটি পিরোজপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে জি.আর মামলা হিসেবে নথীভুক্ত হয়। যার নম্বর ১২২/ ২৪। গত ২ সেপ্টেম্বর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট মোঃ সাদিক আহম্মেদ মিঠুর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের নির্দেশ দিলে সোমবার লাশ উত্তোলন করা হয়।