বৈষম্যে বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন হয়েছে। এই অভ্যুত্থানে আমরা ওই ফ্যাসিস্টরা বাদে সকলে ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছিলাম। এই অভূথ্যানে আমাদের অসংখ্য ভাই যারা নিহত হয়েছে, তাদেরকে নিয়ে মামলা ব্যবসা শুরু হয়েছে। তারা নিরীহ লোকজনকে আসাসী করে আবার তাকে নাম কাটানোর জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আমরা দাবী জানিয়েছি, তদন্ত ছাড়া কোন অপরাধে সম্পৃক্ততা ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার যাবে না। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে শরীয়তপুর সরকারি কলেজ মাঠে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, একটি চক্র রয়েছে, যে চক্রটি এই ছাত্র জনতার ঐক্যবদ্ধকে ফাটল ধরাতে চায়। জুলাইয়ের অভ্যুত্থান ছিল, এমন একটি অভ্যুত্থান যা সকল ছাত্র সমাজ একত্র হতে পেরেছিল। তবে ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের মিত্রদের নিয়ে যে কোনসময় মাথা চারা দিয়ে ওঠতে পারে। এজন্য ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সারজিস বলেন, কেউ একজন জেলা প্রশাসক হউক, কোন সচিব হউক যে কোন যত বড় অফিসার হোক তার যদি কোন অপরাধ থাকে তাহলে বিচার অবশ্যই করতে হবে। আমরা দেখেছি শরীতপুরের হাসপাতালে বেড পাওয়ার জন্য টাকা দিতে হয়। যে সময় ডাক্তার অফিসে থাকার কথা তখন তারা চেম্বারে থাকে। যারা দুর্নীতিবাজ তারা ঔ স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পরিণতি দেখুন, ওবায়দুল কাদেরের পরিনদি দেখুন। মনে রাখতে হবে এই দেশ আমাদের। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল্লাহ সালেহীন অয়ন, সামিয়া মাসুদ মুমু, মুবাশ্বিরুজ্জামান হাসান মৃধা, আবদুর রহমান, মো. হৃদয় হোসেন, শ্যামলি সুলতানা জেদনী, তাসনিমুল আলম, কাজী ইসমাইল হোসেন রুদ্র, সাব্বির রহমান, নাঈমুল ইসলাম, ইমন হাসান। এতে শরীয়তপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।