ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নলভাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি রবিউল ইসলামকে অপহরণের পর গুলি করে হত্যার অভিযোগে মামলা করেছে তার ছেলে সোহাগ হোসেন। দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর পরে এ মামলাটি দায়ের হল। রোববার ঝিনাইদহের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজেষ্ট্রেট আমলী কালীগঞ্জ আদালতে হাজির হয়ে ১৪ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত অবিলম্বে এজাহার হিসাবে মামলাটি রেকর্ড করে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আদালতকে জানানোর জন্য কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, মাহাবুবুর রহমান, ওমর আলী, শহিদুল ইসলাম, মতলেব হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান কাজল,জাহিদ হোসেন, জব্বার আলী, মেহেদী হাসান, কামাল হোসেন, কোরবান আলী,ইনদাদুল,সিরাজ, বিপ্লব হোসেন ও জামাল হোসেন। আসামীদের সকলের বাড়ি উপজেলার নলভাঙ্গা গ্রামে। মামলার নথিকে উল্লেখ করা হয়েছে নলভাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম সার ও কীটনাশকের ব্যবসা করতেন। ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রবিউলসহ কয়েকজন ঝিনাইদহ আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে মাইক্রোতে বাড়ি আসার জন্য রওনা দেন। ফেরার পথে দুপুর ১২ টার দিকে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের কালীগঞ্জের ছালাভরা ও এগ্রোফুড এর মাঝামাঝি পৌছালে অপেক্ষমাণ হেলমেড ও মাস্ক পরিহিত আসামিরা অস্ত্রের মুখে তাদের সকল কে জিম্মি করে। এ সময় রবিউল ইসলাম কে জোর করে ধোরে অপর একটি মাইক্রোতে তুলে কালীগঞ্জ শহরের দিকে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন কালীগঞ্জ থানাসহ অনেক স্থানে খুজাখুজি করে না পেয়ে থানায় জিডি করতে গেলে পুলিশ অপারগতা স্বীকার করলে তারা ফিরে আসে। অপহনের তিন দিন পর ১৩ নভেম্বর সকালে চুয়াডাঙ্গার ভুলটিয়া গ্রামাস্থ্য ময়নাগাড়ি মাঠ থেকে রবিউলের মৃত্যুদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। তার কপালের ডান পাশে গুলির চিহ্ন ও হাতপা বাধা অবস্থা রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সে সময় পুলিশ নিহত রবিউলের ছোট ছেলে সোহেল রানাকে দিয়ে জোরপূর্বক একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। তৎকালীন সময়ে আসামীদের সাথে রাজনৈতিক ও সামাজিক বিরোধ এবং ঝিনাইদহ-৪ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্যে আনোয়ারুল আজীমের প্রত্যাক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় হত্যাকান্ডটি ঘটিয়াছে বলে মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়।