বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ডের শিকার ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের জামায়াত নেতা এনামুল হক হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। রোববার দুপুরে (১৫/০৯/২০২৪) কোটচাঁদপুর আমলী আদালতে ঝিনাইদহের চাকরীচ্যুত সাবেক পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন ও ঝিনাইদহ-৩ আসনে আ.লীগ দলীয় সাবেক দুই সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজ ও শফিকুল আজম খান চঞ্চলসহ মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন নিহত’র ভাই বিএম তারিকুজ্জামান। এই মামলায় পুলিশের মোট ৫ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে। এই নিয়ে সাবেক পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহের বিভিন্ন আদালতে ৫টি হত্যা মামলা দায়ের হলো। আসামীদের মধ্যে অন্যরা হলেন, কোটচাঁদপুর সার্কেলের সাবেক সহকারী পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, এসআই মিজানুর রহমান, এসআই সৈয়দ আলী, কনস্টেবল সমির কুমার, মতিয়ার রহমান, মিজানুর রহমান, কওছার আলী, আবদুল মতিন, নজরুল ইসলাম নজু, আবদুল হান্নান, শরিফুনন্নেছা মিকি, সোহেল আরমান, শফিকুর রহমান, শাহাজাহান আলী, তাজুল ইসলাম, এনামুল মেম্বার।
বাদীর অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার ভাই কোটচাঁদপুর উপজেলা জামায়াতের অর্থ সম্পাদক এনামুল হককে ২০১৪ সালের ২৫ জানুয়ারী কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদের মধ্য থেকে পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকধারীরা তুলে নিয়ে যায়। এ সময় তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জামায়াত সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী তাজুল ইসলামের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে ফিরছিলেন। অপহরণের একদিন পর ২৬ জানুয়ারী কোটচাঁদপুর শহরের নওদা গ্রামের একটি স্কুলের পাশে এনামুল হকের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া যায়। ওই সময় পুলিশ দাবী করে যৌথ বাহিনীর অভিযানে এনামুল হক নিহত হয়েছেন। বাদীর অভিযোগটি গ্রহন করে বিজ্ঞ আদালত কোটচাঁদপুর থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন। অ্যাডভোকেট রস্তম আলী আদালতে বাদীর পক্ষে অভিযোগটি দায়ের করেন। এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর থানার ওসি সৈয়দ আল মামুন রোববার বিকালে জানান, আদালতের আদেশ এখনো থানায় পৌছায়নি। হাতে পেলে নির্দেশনা মোতাবেক মামলা রেকর্ড করা হবে।