জেলার বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ৩৯৬ জন নেতাকর্মীর নামে একটি আদালতে পাঁচটি নালিশি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। হামলা, বসতবাড়ি ভাঙচুর, চাঁদা দাবি, পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত, লুটপাট, অপহরনের পর মারধর করে আটকে রেখে মুক্তিপন আদায়, হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর এবং টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগে উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের চার নেতা বরিশালের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নালিশি অভিযোগগুলো দাখিল করেছেন।
আদালতের বিচারক অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে সিআইডিকে দুইটি ও ডিবি পুলিশকে দুইটি তদন্ত এবং একটি বানারীপাড়া থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নিদের্শ দিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোঃ রেজাউল ইসলাম।
আদালত ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পাঁচটি মামলায় নামধারি ৬৮জন এবং অজ্ঞাতপরিচয়ে ৩২৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে একটিতে চলতি বছরের মে মাসের ২৩ তারিখ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাওলাদ হোসেন সানা ও তার প্রবাসী ভাই রাহাত আহমেদ ননীসহ ১৮ জন নামধারী ও অজ্ঞাতপরিচয়ে ১৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ করা হয়েছে। দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পেয়ে বাদির অফিস ভাঙচুর এবং বাদিকে কুপিয়ে জখম করার পাশাপাশি প্রায় ২০ লাখ টাকা লুটের অভিযোগ করা হয়। এ মামলার বাদি বিএনপি নেতা মাহাবুব রাহমান সুমন মৃধা।
অপর মামলার (দুইটি) বাদি হলেন-পৌর বিএনপি নেতা মেহেদী হাসান মিদুল, উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম ও বিশার কান্দির মরিচবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা ইউনুস সিকদার। মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাওলাদ হোসেন সানা, তার প্রবাসী ভাই রাহাত আহমেদ ননী, আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল হক মিন্টু ও নুরুল হুদা তালুকদার।