বরগুনার তালতলীতে ইউপি সদস্য জামাল খানের উপর সন্ত্রাসী হামলার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার নিদ্রা বাজারে মানববন্ধনে ইউপি চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু, ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন, শাকিল খান, নান্টু ও জয়নালসহ ঐ এলাকার প্রায় ৬ শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন।
এ সময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, লক্ষি পরিবহন নামের একটি স্টিলবডি (ট্রলার) স্থানীয় সোহাগ আকন, বেলাল ও ইব্রাহিমসহ কয়েকজন চুরি করে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের নিদ্রা স্লুইজঘাট খালে রেখে পালিয়ে যায়। এ খবর পেয়ে ইউপি সদস্য জামাল খান প্রশাসনকে জানালে স্টিলবডি ট্রলাটি তার জিম্মায় রাখার নির্দেশ দেন। পরে এই খবর পেয়ে তালতলী কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ন-আহবায়ক বশির উদ্দিনের নেতৃত্বে ২ জন সাংবাদিকসহ ২৫-৩০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ৩১ আগস্ট দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ টার দিকে ইউপি সদস্য জামাল খানকে ঘুম থেকে জাগিয়ে চোরাই ট্রলারটি নেওয়ার জন্য ২০ হাজার টাকার প্রস্তাব দেয়। এতে ওই মেম্বর রাজি না হলে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় ইউপি সদস্য বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা ওই মেম্বরকে বেধরক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে ও বিবস্ত্র করে ফেলে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউপি সদস্যকে উদ্ধার করে তালতলী হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত ডাক্তার অবস্থার অবনতি দেখে পটুয়াখালী হাসপাতালে পাঠান। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে ইউপি সদস্য শাকিল খান ও জসিম উদ্দিন বলেন, সন্ত্রাসীদের সাথে দুই সাংবাদিক যে এভাবে রাতের আঁধারে হামলার সাথে জড়িত হবে এটা আমরা আশা করি নাই। এই হামলাকারীদের কঠিন বিচারের দাবি করছি। হামলাকারীদের কঠিন বিচার না হলে আমরা জনপ্রতিনিধির পক্ষ থেকে পরবর্তীতে কঠিন আন্দোলন করবো।
এবিষয়ে আহত ইউপি সদস্য জামাল খান মুঠোফোনে বলেন, আমি চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে আছি। সুস্থ্য হলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো। তিনি সরকারের কাছে সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেন।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু মিয়া বলেন, এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি করছি। তা না হলে জনপ্রতিনিধিদের ওপরে সন্ত্রাসী হামলা বন্ধ হবে না।