বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ এবিএম মোশাররফ হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার দুর্নীতির একটি ছোট উদাহরণ, রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান করতে গিয়ে শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজিব ওয়াজেূ জয়, বোন শেখ রেহানা, তার মেয়ে ব্রিটেনের এমপি টিউলিপ বালাদেশী টাকার দাঁড়ায় প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। শেখ হাসিনা বলেছিলেন, শেখ মুজিবের মেয়ে পালায় না। কিন্তু আমরা কি দেখলাম গত ৫ আগস্ট নেতা-কর্মীদের ফেলে তিনি ভারতে পালিয়ে গেছেন। কিন্তু আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতা ছাড়ার মামলা, নির্যাতন, জেল-জুলুম সহ্য করার পরও পালায় নি।
রোববার বিকালে সাড়ে ৫ টায় কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি আয়োজিত পৌরশহরের উপজেলা প্রশাসন বালুর মাঠে গণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনা সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে আজ নতুন বাংলাদেশ নির্মাণে বিএনপি কাজ করে যাচ্ছে। তাই নতুন বাংলাদেশে ছাত্র জনতাসহ গত ১৭ বছর, গুম, খুন ও অর্থ পাঁচারে জড়িত সকলের বিচার এ বাংলার মাটিতে হবে।
কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, আপনারা পত্রিকায় দেখেছেন সাবেক কেন্দ্রীয় এক ছাত্রলীগ নেতা সাহাবুদ্দিন পান্না ভারতে পালিয়ে গিয়ে মারা গেছেন। তার কাছে আড়াইশ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। তাহলে পটুয়াখালী- ৪ আসনের সাবেক দুই এমপি মন্ত্রীর কাছে কত টাকা পাওয়া যাবে।
তিনি পটুয়াখালী-৪ আসনের সকল বিএনপি ও সহযোগী নেতাদের উদ্দ্যেশ্যে বলেন, আজ থেকে চাঁদাবাজি, জমিদখল, কোন প্রকার সালিশ বানিজ্য চলবে না। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাবে তাৎক্ষণিক তার বিরুদ্ধে আইনি ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কলাপাড়া হবে শান্তি ও সম্প্রীতির এক অনন্য উদাহরণ।
কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ূন সিকদারের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি। বিশেষ অতিথি ছিলেন পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য মোশতাক আহম্মেদ পিনু, রাঙ্গাবালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুর রহমান ফরাজী, বিএনপি নেতা জাফরুজ্জামান খোকন, অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান চুন্নু, গাজী মোঃ ফারুক, মুসা তাওহীদ নান্নু মুন্সী, আবদুল আজিজ মুসল্লী, আবদুল জলিল হাওলাদার, অ্যাডভোকেট শাহজাহান পারভেজ, বিশ্বাস শফিকুর রহমান টুলু, অ্যাডভোকেট খন্দকার নাসির উদ্দিন প্রমুখ। গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কলাপাড়া, কুয়াকাটা ও রাঙ্গাবালী বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে দীর্ঘ ১৭ বছর পর কলাপাড়া এক উৎসবের শহরে পরিনত হয়।