ছিল পাঁকা রাস্তা, হয়ে গেছে মাটির। শুধু মাটির নয় রিতিমত হাঁবড় তৈরী হয়েছে বিভিন্ন স্থানে। সড়ক দিয়ে যানবান যাওয়ার সময় গর্তে জমে থাকা পানি ছিটকে পথচারিদের গায়ে লেগে নোংরা হচ্ছে। আবার জমে থাকা পানি পচা গন্ধের কারণে মানুষের ও সমস্যা হচ্ছে।
কালীগঞ্জ উপজেলার নিমতলা বাসষ্টান্ড থেকে গান্না বাজার অভিমুখে প্রায় ২৫ কিলোমিটার রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে মারাত্নক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। কোন কোন স্থানে কিছু টা সংস্তার করা হলে ও অনেক স্থানে আবার পিচ পাথর উঠতে শুরু করেছে। সড়কটি দিন রাত সর্বসময় যানবাহন চলাচল করে। এ সড়ক দিয়ে চুয়াডাঙ্গা, জীবননগর, যশোর, কোটচাদপুর, গান্না বাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের যানবাহন চলাচল করে। বিশেষ করে কালীগঞ্জ নিমতলা বাসষ্টান্ড থেকে শ্রীরামপুর গ্রাম পর্যন্ত সড়কের বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে আবার সিংদহ,আলাইপুর,বাশিপাড়াসহ অনেক স্থানে সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ পথিন উঠে গিয়ে বগ বগ গর্তে পরিনতহয়ে পানি জমে থাকছে। যানবাহন চলাচলে মারাত্নক সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে ও ছোট যানবাহন,ভ্যান, রিকসা, ইজিবাইক,নছিমন,করিমন চলছে ধিরগতিতে। যানবাহন চালকরা চলছে আতঙ্কে যে,কখন যেস দূর্ঘটনা ঘটে এমন ভয় তাদের মধ্যে কাজ করছে।বর্তমান অবস্থা এতোটাই খারাপ যানবাহন কেন পথচারীরা পাঁয়ে হেটেও যাতায়াত করতে পারে না।
২০১৯ সালে ৫৪ লাখ টাকা ব্যায় করে ট্রেন্ডারের কাজটি পান খুলনার মোজাহার এন্টার প্রাইজ কিন্তু করেন ঝিনাইদহের মিজানুর রহমান। ২০১৯ সালের কাজ শুরু করে শেষ করেন ২০২০ সালের ২০ মে। কাজটি বেশ নিম্নমানের হওয়ার কারণ মাত্র ক,বছরেই রাস্তাটি দিয়ে চলাচলে অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। সে সময়ে কাজটি এতই নিম্মমানের হয়েছি যে পিচ পাথর এলাকার মানুষ হাত দিয়ে চেনেই উঠিয়ে ফেলেছিল। বিষটি বিভিন্ন পতপত্রিকায় প্রকাশ পেলে সরকারের বিভিন্ন দপ্তবে কর্মকর্তারা এস পরিদর্শন করেন ও কাজটি পুনরায় করতে হয় ঠিকাদারকে। তার পর কাটটি নিম্নমানের হয়েছি বলেই এখন সড়কের এ বেহাল দশা।এখন রাস্তাটি সংষ্কারের উদ্যোগ নেয় কোন দপ্তরের। কাঁদা পানিত নিমজ্জিত থাকে রাস্তাটি। মাত্র এই ২ কিলোমিটার ভাঙ্গাচুরা রাস্তার কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক টা দূর্ঘটনার আশংকাং পরিনত হয়েছে। রাতে অনেক বাইসাইকেল, মট্র সাইকেল, ভ্যান, বিকসা যাওয়া আসার সময় উল্টে যায়। এলাকার মানুষ বলছে ২৫ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ২ কিলোমিটার খারাপ থাকায় চলাচলের চলাচলে অনেক ঝুকি বেড়েছে।অনেক ভারি যানবাহন উল্পে যাওয়ার ভয়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার ঘুরে ঝিনাইদহ শহর দিয়ে চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুরসহ বিভিন্ন স্থানে চলাচল করছে।মাঝে ২ কিলোমিটার রয়েছে ভাঙ্গাচুরা। সেখানে বড় বড় গর্ত তৈরী হয়েছে। এই গর্ত পেরিয়ে ভারী যানবাহন, ভ্যান-রিক্সা দুরের কথা এখন আর পাঁয়ে হাঁটা অনেক কষ্টের ব্যাপার।রাস্তাটি মাত্র ৩ বছর পূর্বে পাঁকা করা হয়েছিল। সেই সময় পিচঢালা রাস্তা তৈরী করা হয়। কিন্তু উভয় অংশে ২ কিলোমিটার কেউ মেরামত করেনি। ফলে ওই দুই কিলোমিটার ভেঙ্গেচুরে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। রাস্তাটি এতোটাই ভেঙ্গেচুরে গেছে যে সেখানে তৈরী হওয়া গর্ত পেরিয়ে চলাচল সম্ভব নয়। এ ছাড়া তাদের এলাকায় উৎপাদিত কৃষি পন্যও সহজে বাজারজাত করতে পারছেন না এই ২ কিলোমিটার রাস্তার জন্য। এ রাস্তা দিয়ে কালীগঞ্জ,ঝিনাইদহ.যশোর,গান্নাবাজার,রামনগর এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্ধরিা যাতায়াত করে।
ঝিনাইদহ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুে রহমান বলেন, ঘনঘন বর্ষার কারণে তারা রাস্তাটি মেরামত করতে পারছে না। পরে ক্ষুদ বাজেট থেকে মেরামত করা হবে।