দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার আমন ধান ক্ষেতে কৃষকেরা পোকা দমনে পাঁচিং পদ্ধতি ব্যবহার করছে। দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পাঁচিং পদ্ধতি।
গতকাল কাহারোল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা গাছের ডাল, কঞ্চি এবং বাঁশের বাতা করে ধানের জমিতে পুতে রাখছে। এতে করে পাখি এসে সেই গাছের ডাল,কঞ্চি এবং বাশের বাতার উপর বসে ক্ষতিকারক পোকা খেয়ে ফেলছে। পাঁচিং পদ্ধতি ব্যবহারে উৎসাহ যোগাচ্ছেন কৃষি বিভাগের কৃষি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের উপণ্ডসহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণ।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ১৩ হাজার ৩শত ৪০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যে মাত্রা নিধারণ করা হয়। লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে বলে কৃষি বিভাগ জানায়। কাহারোল উপজেলা মুকুন্দপুর গ্রামের হবিবর রহমান বলেন, তিন একর জমিতে এবার আমন চাষ করেছেন। ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য জমির প্রতিটি খুটুর মধ্যে কঞ্চি পুতে রাখা হয়েছে। একই এলাকার কৃষক আরিফুল ইসলাম জানায় ,দুই বিঘা জমিতে আমন চাষ করেছেন। সম্পূর্ণ জমিতে কঞ্চি পুতে রেখেছেন ক্ষতিকারক পোকার আক্রমণ হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা মল্লিকা রানী সেহানবীশ জানান, উপজেলার কৃষকদের পাঁচিং পদ্ধতি ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে উপণ্ডসহকারি কৃষি কর্মকর্তাগণ কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা করছেন পাঁচিং পদ্ধতি ব্যবহারের জন। দিন দিন উপজেলায় কৃষকেরা পাঁচিং পদ্ধতি ব্যবহার করছেন তাতে করে অন্যান্য কৃষকেরা উ’ৎসাহিত হচ্ছেন। পাঁচিং পদ্ধতি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কৃষকদের মাঝে।