টানা বৃষ্টিতে নাকাল হয়ে পড়েছে কালীগঞ্জের জনজীবন। গত রোববার থেকে হওয়াএবৃষ্টিযেনথামছেইনা।
এদিকেটানাবর্ষণেমাঠেথাকারোপাআমন,মাসকলাই,ডাল,ফুলকপি,শিম,লাউ,মিষ্টি কুমড়া,বেগুন, বিভিন্ন ফুল ক্ষেত,পেঁপেসহ বিভিন্ন শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একদিকে কৃষি উপকরণের বাড়তি দাম, অন্যদিকে বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হওয়ায় চিন্তায় ভাঁজ পড়েছে কৃষকের কপালে। পানিতে ডুবে আছে বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত।
কালীগঞ্জ উপজেলার প্রায় প্রতিটি গ্রামের মাঠের মধ্যে পানি বেড়ে যাওয়ায় তলিয়ে গেছে উঠতি ফসলাদি। এতে পেঁয়াজের বীজতলাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষেতে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে ধান, শাকসবজি ও পেঁয়াজ বীজতলার জমি ডুবুডুবু অবস্থা। জলাবদ্ধতা কয়েকদিন থাকলে মাঠের ফসল পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাওয়ার শঙ্কা কৃষকদের। মঙ্গলবার থেকে বাজারে প্রতিটি সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।পাইকারি বাজারে প্রতিটি সবজিতে প্রায় ১৫/২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। এ ছাড়া বাজারে সবজির আমদানি কম হয়েছে। বাইরে থেকে আসা অনেক পাইকারি ব্যবসায়িরা তাদের চাহিদামত সবজি কিনতে পারেনি।
মঙ্গলবার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, টানা বৃষ্টিতে গ্রাম এলাকার মাঠে বেশ কিছু নিচু এলাকার ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে রয়েছে। কৃষক শাহাদত হোসেন জানান,টানা বৃষ্টিতে সবজির জমি পুরোটাই তলিয়ে গেছে। জমিতে পানি জমে থাকায় প্রায় সব ফসলই নষ্ট হয়ে গেছে।রামনগর গ্রামের মহিদুল ইসলাম বলেন, ভারি বৃষ্টির কারণে তার বেগুন ও সবজির ক্ষেতে পানি জমেছে ফলে এ ক্ষেতের সবজির গাছ মারা যাবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অনেকে আবার এনজিও থেকে টাকা ঋণ নিয়ে জমিতে আগাম ফুলকপির চাষ করেছিল, বৃষ্টিতে সব ফুলকপি তলিয়ে গেছে। এখন এ ঋণের টাকা কীভাবে শোধ করবে আর সংসার কীভাবে চালাবে সেটা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে। অনেক কৃষক পরের বিঘা জমি বর্গা নিয়ে লাল শাক ও মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছিল। টানা বৃষ্টির হওয়ায় জমির গাছ পানির নিচে তলিয়ে গেছে। মহাজনের টাকা-পয়সা এখনো পরিশোধ করতে পারিনি।অনেক কৃষকের মাঠে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, মরিচ, লাউ, পটল, মুলা, ভেন্ডিসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে।বিগত বছর গুলোতে এ সময়ে কৃষকরা খুশি থাকলেও এ বছর কৃষকদের মুখি হাসি নেই,ভারী বর্ষণে ডুবে ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় বিপদে তারা।
মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন টানা বৃষ্টিতে বেশকিছু জমির ধান, সবজি ও পেঁয়াজ বীজতলার ক্ষতি হয়েছে। তবে কি পরিমাণ ফসলের ক্ষতি হয়েছে, তা এখনো নিরূপণ করা হয়নি।গত তিন দিন ধরে টানা ভারী বৃষ্টিতে পানি জমে ফুল চাষের ক্ষেত পানিবন্ধি হয়ে পড়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন বহু চাষি। বৃষ্টিতে বেগুন ও ঝাল গাছের গোড়ায় পানি জমে গাছ পচে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। গাঁদা ফুলের গাছের একই দশা।