ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার কলেজপাড়া এলাকায় টানা একদিনের বৃষ্টিতে দুর্ভোগ বেড়েছে এলাকাবাসির। বিশেষ করে নিচু এলাকার বাড়ি গুলোতে ঢুকছে পানি। এতে রান্নাসহ যাবতীয় কাজে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কলেজপাড়াবাসির।পানিতে তলিয়ে গেছে এলাকার সড়ক, অলি-গলি। তাছাড়া জলাবদ্ধতার কারণে সেখানে দেখা দিয়েছে মারাত্নক দূর্ভোাগ। সোমবার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়। রোববার রাতে ভারী বর্ষণে পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের কলেজপাড়া এলাকা তলিয়ে যায় পানিতে। এসব এলাকার কোথাও কোথাও সড়ক হাঁটু পানি জমে রয়েছে।
নিশিত কুমার ঘোষ বলেন, আমাদের এখানকার মানুষ একপ্রকার অভিভাবকহীন। এখানে বৃষ্টি হলেই পানি উঠে যায়। আর একবার পানি উঠলে তা সপ্তাহের আগে নামে না। কারণ পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা কথা দিয়ে গেলেও কেউ কথা রাখেন না। আমরা এখানে প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে টিকে আছি।টানা বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বেধে থাকা পানির কারণে তারা স্কুল ড্রেস পোরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে না। রিকশা-ভ্যান, ইজিবাইক দুই থেকে তিনগুণ পর্যন্ত ভাড়া বেশি গুনতে হয় অফিসগামী যাত্রীদের। অনেকে আবার কাকভেজা হয়ে অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছান। পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন এভাবে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে থাকার এ দূর্ভোগ পোহাতে হয় তাদের। এলাকাটিতে পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতে তলিয়ে যায়। এলাকাটিতে প্রায় ৪ হাজার লোকের বসবাস করে।
বিশেষ করে একদিনের ভারী বর্ষণে পৌরসভার কলেজপাড়ায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ৪ হাজার পরিবার। এলাকাটি খুবই ঘনবসতি হওয়ায় মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না পানি বদ্ধতার কারনে। এ এলাকার প্রধান সড়ক পাইকপাড়া অভিমুখের সড়ক থেকে সরকারি মাহাতাব উদ্দিন কলেজ গেটের সামনে। এ সড়কটি যাতায়াতের একমাত্র সড়ক। কিন্তু এ সড়কটি ও পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে সাধারন মানুষের যাতায়াতের দূভোগের শেষ নাই। আবার অধিকাংশ বাসা বাড়ির অলি গলিতে পানি জমে রয়েছে। অনেকের বাসা বাড়ির মধ্যে পানি আর পানি।এ পানি নামবার জন্য একটি ড্রেন রয়েছে জরাজির্ন অবস্থায়। সে ড্রেন দিয়ে পানি নিস্কাসন হয় না।ড্রেনটি র্দীর্ঘ দিনের পুরাতন ও মাটি ও ময়লা পড়ে ভরাট হয়ে গেছে। রোববার রাত ৮ টা থেকে সোমবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি। বিশেষ করে আবাসিক এলাকার সড়ক গুলোর অবস্থা বেহাল। টানা বৃষ্টিতে ঘর থেকে বের হওয়ারই উপায় নেই।অনেকই কাজে বের হতে পারছে না। এভাবে বৃষ্টি হতে থাকলে দুর্ভোগ বাড়তেই থাকবে।অনেকেই প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হয়নি। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ পড়েছে চরম বিপাকে। আবার টানা বৃষ্টিতে কালীগঞ্জ শহরের রাস্তা ঘাটগুলো বা যেসব এলাকায়
জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, সেখানে ড্রেনেজ পরিষ্কার করা হয় না। শহরের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকায় সাধারন মানুষ ও ব্যবসায়িদের পড়তে হয় মারাত্নক দূভোগে।
রোববার রাত ৮ টা থেকে কখনো মুষলধার,কখনো হালকা বৃষ্টি আর ঝোড়ো বাতাসের কারণে সোমবার সারাদিন চরম দুর্ভোগে কেটেছে কলেজপাড়ার জনজীবন।একদিকে আবাসিক এলাকার বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার কারণে সাধারণ মানুষ থমকে পড়েছে।এলাকায় পানি জমে মানুষের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। রয়েছে অনেক ক্ষুদ্র দোকান ব্যবসায়ি তারা বৃষ্টির জন্য অনেক বাজার-দোকান খুলতে পারেননি। পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডটি অত্যান্ত ঘনবসতি কিন্তু আবাসিক এলাকায় অলিগলিতে ড্রেনেরে ব্যবস্থা নেই।এ কারণে পানি কোথাও যেতে পারছে না। তাই অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়ে বিড়ম্বনার পড়তে হচ্ছে মানুষজনকে।বৃষ্টির পানি জমে রাস্তায় হাঁটার অবস্থা নেই। প্রতি বছর এলাকায় জলবদ্ধতা হয়,অথচ এর প্রতিকারের কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না। আবাসিক এলাকায় কোথাও কোথাও প্রায় হাঁটু সমান পানি জমে রয়েছে। পায়ের জুতা ভিজিয়ে পথ চলতে হয়েছে অনেক পথচারীকে।জলাবদ্ধতার কারণে অনেক পুরাতন ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা সব রাস্তায় উঠে এসেছে।এতে চারদিকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এসব কারণে পথ দিয়ে অনেকের হাঁটাও সম্ভব হয় না।
বিশেষ করে নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা ভোট পাওয়ার আশায় কলেজপাড়ার সকল সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুত দিয়েছে একাধিকবার। কিন্তু নির্বাচনে বিজয় হওয়ার পরে তাদের প্রতিশ্রুতির কথা মনে রাখেনি।