ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার সড়ক সংস্কারের তিন বছরের মধ্যেই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সড়কের কমপক্ষে ২০টি স্থানে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার নিমতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে মুরগীহাটা পর্যন্ত ৪৫০ মিটার দীর্ঘ সড়ক মেরামতের জন্য তিন বছর আগে ৭৬ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। ঠিকাদার সংস্কার কাজে অনিয়ম করায় সড়কটি এখন বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। অপর দিকে কালীবাড়ির সামনে বৃষ্টি হলে প্রায় ১ ফুট পানি জমাট হয়ে থাকে। এ পানির কারণে মানুষ চলাচল করতে পারে না। এ সড়কের সাথে রয়েছে কালীগঞ্জ পুলিশের থানা,উপজেলা পরিষদ, রেজিষ্ট্রি অফিস, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিএনপির অফিস, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাতায়্ােতর একমাত্র ভরসা।
কালীগঞ্জ নিমতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে মুল বাজারে যাওয়ার সড়কটি চলাচলে অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। সড়কের এই অবস্থায় সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বর্তমানে এই সড়কটি যেন এক মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। এই সড়ক টিতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। এই অবস্থা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার নিমতলা বাসষ্টান্ড থেকে বাজার অভিমুখে সড়কটির মাত্র ৪শ ৫০ মিটার পাঁকা সড়ক মেরামতের জন্য বরাদ্ধ ছিল ৭৬ লাখ টাকা। এই বিপুল অর্থ ব্যয় করে শুধুমাত্র সংষ্কার করা সড়কটি ৩ বছরেই ভেঙ্গে চুরে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। সড়কের কমপক্ষে ২০ টি স্থান ভেঙ্গেচুরে বড় বড় গর্ত তৈরী হয়েছে। এই সড়কের পিচঢালাই উঠে যাওয়ায় স্থানে স্থানে তৈরি হয়েছে ছোটবড় অসংখ্য খানা-খন্দ। ভাঙা রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে রিকশা ও অটোরিকশার যাত্রীরা নাকাল হচ্ছেন। পাশাপাশি সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে সড়কে।
এই রাস্তা দেখলে বোঝা যায় এই কাজে কতটুকু অনিয়ম করা হয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সড়কটির উপরের অংশ খুড়ে ফেলে পুনরায় ১ ইঞ্চি কার্পেটিং করার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদার সেভাবে করেনি, নাম মাত্র কার্পেটিং করে চলে গেছেন। যে কারণে অল্প দিনেই উঠে যেতে শুরু করে। এখন যা বৃহত আকার ধারন করেছে। কিন্তু সড়কের অবস্থা এতোটা খারাপ হওয়ায় চলাচল করা খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে প্রতিদিন সড়কে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। মাঝে মধ্যে পথচারীরা যানবাহনকে পাশ কাটাতে গিয়ে গর্তে পড়ছে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শত শত অটোরিকশা ও রিকশা চলাচল করে। শহরের বড় মার্কেট যাতায়াতের জন্যও ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা এই রাস্তা ব্যবহার করেন। সড়কটির পিচঢালাই উঠে ইট ও ইটের খোয়া বেরিয়ে এসেছে।রাস্তার পানি নিষ্কাশনের সুবিধা না থাকায় নালার পানি জমে থাকে এখানে। বৃষ্টির পানি জলাবদ্ধতা প্রকট আকার ধারণ করেছে।এ নিয়ে ভোগান্তিতে পোহাতে হয় এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াতকারী ব্যক্তিদের ও পাশের দোকান ব্যবসায়িদের। রাতে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে বলে জানালেন স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা।
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ শহরে টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় পানি বন্দি হয়ে পানিবন্দি হয়ে সাধারন মানুষ ও ব্যবসায়িরা পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এ ছাড়া অনেক পরিবারে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।পানি বেধে জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষয়-ক্ষতি। ভারী বর্ষনে পানিতে ডুবে গেছে শহরের রাস্তাা-ঘাট, অলি-গলি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ঘর-বাড়িসহ নানা স্থাপনা।কালীগঞ্জ শহরের হাট চাঁদনী ও কালীবাড়ির সামনে সড়কের তিন রাস্তার মোড়ে সামান্য বৃষ্টিদে পানি জমাট বেঁধে থাকে। ফলে সেখানে থাকা চা দোকানি,খাবার হোটেল, চালের আড়ত ফলের দোকান, রুটি ও ভাজা বিক্রেতাসহ বিভিন্ন ব্যবসায়িদের ছোট বড় দোকান পানিতে পানিবেধে তলিয়ে যাচ্ছে। এ পানি জমাট থাকার কারণে ব্যবসায়িদের দোকানে সাধারন ক্রেতারা সহজে আসতে পারছে না। সামান্য বৃষ্টি হলে পানি কালিবাড়ির সামনে হাট চাঁদনীর তেমাথার নিচু থাকার কারণে জমাট হয়ে থাকে। জমাট হওয়া পানি বেরিয়ে যাবার কোন সুব্যবস্থা না থাকায় সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘকালীন জলবদ্ধতা। বৃষ্টি বেশি হলে পানি পাশের কাপুড়িয়া পট্টির গলিতে ঢুকে পড়ে। হাট চাঁদনীর সামনে তিন রাস্তার মোড়ে দোকান গুলো পানিতে তলিয়ে রয়েছে। দোকানিরা দোকান খুলে বসে থাকতে দেখা গেলও আগের মতো ক্রেতার দেখা মিলছে না। এ সময় একজন দোকানি উপায় না পেয়ে দোকানের সামনে জমে থাকা পানি নিজে বালতি দিয়ে অপসারণ করে।বিগত সরকারের আমলে পৌরসভা এলাকার প্রতিটি রাস্তার কাজ ব্যাপক নিম্নমানের করা হয়েছে।
রাস্তা নির্মানের বছর না পরেুতেই পিচ, পাথর, খোয়া উঠে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ পৌর ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আসাদুজ্জামান বলেন, বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে ব্যবসায়িদের চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে।