পুঠিয়ায় ৭৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আ.লীগের আমলে নিয়োগকৃত শিক্ষক কর্মচারী এবং দলবাজরা ভীষণ আতঙ্ক উৎকন্ঠার ভিতরে রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে উপজেলার দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রী এলাকাবাসী অভিভাবকরা মিলে আন্দোলন করেছে। আগামীতে আন্দোলনের মুখে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হতে পারে।
এই আতঙ্কে অনেক শিক্ষক কর্মচারীদের রয়েছে। অবশ্য যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি ও শিক্ষা বাণিজ্য আ.লীগের দলবাজগিরি করেছেন তাদের মাঝে উৎকণ্ঠা বেশি কাজ করছে। তাই দুর্নীতিবাজদের চোখের ঘুম হারাম হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
আবার অনেকে ঠিক মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন না। অপরদিকে শিক্ষক কর্মচারীদের অনেকের শিক্ষা সনদপত্র নকল বলে গুঞ্জন উঠেছে। অনেকে আবার বেসরকারি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের সনদপত্র দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল কলেজে শিক্ষকতা করছেন। ২০টি যে কলেজ রয়েছে সব বিষয়ে শিক্ষক আছে। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রী নেই তবুও শিক্ষকরা বেতন ভাতা উঠানো নজির রয়েছে।
আ.লীগ পর পর ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিল। পুঠিয়া-দুর্গাপুর আসনে ১০ বছর সাবেক এমপি ছিলেন কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারা। তারপর ডা মনসুর রহমান ৫ বছর এমপি ছিলেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আবারও নির্বাচিত হয়ে স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী হয়ে ছিলেন আবদুল ওয়াদুদ দারা। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, স্বাধীনতার পর পুঠিয়া-দুর্গাপুর আসনে আবদুল ওয়াদুদ দারা মতো কেউ শিক্ষা বাণিজ্য করতে পারিনি। শুধু শিক্ষা খাত হতে তিনি কয়েক শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
অপর সাবেক এমপি ডা মনসুর রহমান ৫ বছরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে শত কোটি টাকার অধিক লুটপাট করেছেন। এদের আইনের আওয়াতায় আনা উচিত। ২০ আগস্ট বিড়ালদহ সৈয়দ করম আলি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানকে ছাত্র-ছাত্রী এলাকাবাসী অভিভাবকরা মিলে আন্দোলনের মুখে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। তাকে সাবেক দারা এমপি মোটা অংকের টাকা নিয়ে পাবনা জেলা হতে এনে মাদ্রাসায় নিয়োগ দিয়ে ছিলেন। ১৫ আগস্ট নন্দনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রী এলাকাবাসী অভিভাবকরা মিলে পদত্যাগের জন্য মানববন্ধন করেছে। বিশেষ করে আ.লীগের আমলে নিয়োগকৃত শিক্ষক কর্মচারীরা এবং যারা অনিয়ম দুর্নীতি ও শিক্ষা বাণিজ্যের সঙ্গে সরাসরি জড়িত শুধুমাত্র তারাই আতঙ্ক উৎকন্ঠার ভিতরে বেশি রয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা লায়লা আখতার জাহান বলেন,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূর্বের কোনো ব্যবস্থাপনা কমিটি এখন আর নেই। প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক কর্মচারী সমস্যা পড়লে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাতে হবে। তিনি সবকিছুর সমাধান করে দেবেন।