ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় উপজেলার সাবেক দুই পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বিজু ও আশরাফুল আলম এবং উপজেলা চেয়ারম্যান শিবলী নোমানীসহ ৯৪ জনের নাম উল্লেখ করে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় অজ্ঞাত আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ২৩ আগস্ট শুক্রবার শহরের থানাপাড়ার শাজাহান আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে (মামলা নং ০৮), চলতি মাসের ৪ আগস্ট বিকাল ৫ টার দিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা বিএনপির নিমতলা রোডের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর, বোমা নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় কার্যালয়ের আসবাবপত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পুড়ে যায়। এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে এ হামলা এবং অগ্নি সংযোগে ৮ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব আছেন মানিক চন্দ্র গাইন (ওসি তদন্ত)।
এ মামলায় উল্লেখ যোগ্য আসামিরা হলেন সাবে উপজেলা চেয়ারম্যান শিবলি নোমানি, সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ ও মোস্তাফিজুর রহমান বিজু, মোচিক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম রসুল, প্রায়ত এমপি আনোয়ারুল আজিম আনারের ব্যক্তিগত সহকারী আবদুর রউফ, ইউপি চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান ওদু, মোদাচ্ছের হোসেন, রাজু আহমেদ রনি লস্কর,আলী হোসেন অপু, নাছির উদ্দীন চৌধুরী ,আবুল কালাম, মহিদুল ইসলাম মন্টু, আনিচুর রহমান মিঠু মালিতা, সাবেক উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান শফিকুজ্জামান রাসেল, রাশেদ শমসের,জাবেদ হোসেন জুয়েল, শরিফুল ইসলাম, রজক আলী মন্টু, জাহাঙ্গির হোসেন সোহেল,মতিয়ার রহমান মতি, রিংকু, রুকু,উজ্জত আলী, দরবেশ আলীসহ. ৯৪ জনের নাম উল্লেখসহ ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবু আজিফ মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ৯৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি। তবে দ্রুত পুলিশি অভিযান চলবে বলেও জানান তিনি।