শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে গত ১৭ জুলাই থেকে দেশব্যাপী বন্ধ থাকা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম বুধবার (১৩ আগস্ট) থেকে শুরু হয়েছে। তবে এদিন রাজশাহীর বেশিরভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল। বন্ধ থাকার পর চালু হওয়া শিক্ষা কার্যক্রম দেখতে গিয়ে এদিন সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত নগরীর ভোলানাথ বিশ্বেশ্বর হিন্দু একাডেমি, ঘোড়ামারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মন্নুজান সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই অনুপস্থিত দেখা যায়। তবে চলমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পুরোপুরি উপস্থিতির হার সম্ভব নয় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়াও দীর্ঘ প্রায় এক মাস বন্ধ থাকা এবং বুধবার সপ্তাহ শেষের আগের দিন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম হয়ে বলেও মন্তব্য শিক্ষকদের।
এ বিষয়ে রাজশাহী বি বি হিন্দু একাডেমির প্রধান শিক্ষক রাজেন্দ্রনাথ সরকার বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক কাজ করছে। ফলে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে এখনো চিন্তিত। তবে আগামী সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আর এরপরই শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি আগের মতো হয়ে যাবে।
এর আগে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সত্যজিত রায় দাশ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো পুরোদমে শ্রেণি কার্যক্রম চালু করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। একই সঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গত ৩ আগস্ট ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়ে জারি করা অফিস আদেশের কার্যকারিতা রহিত করা হলো। আর গত ৫ আগস্ট রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে দেশের স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। যার প্রেক্ষিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল খুবই নগণ্য। পরে গত শনিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসাবে ডা. বিধান রঞ্জন রায় দায়িত্ব গ্রহণের পর গত সোমবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্কুল খোলার বিষয়ে আবার নতুন করে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রসজ্ঞত, গত ১৭ জুলাই দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।