দিনাজপুরের বিরলে ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের এক নেত্রীর স্বামীর ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে দোকান ও গোডাউনের প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। উপজেলার আজিমপুর ইউনিয়নের জামতলী বাজারে মেসার্স গৌতম স্টোর নামের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে দুর্বৃত্তরা ওই লুন্ঠনের ঘটনা ঘটিয়েছে। বিরল উপজেলার ১ নং আজিমপুর ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক কৃষ্ণারাণী রায়ের স্বামী পরেশ চন্দ্র রায় ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছিল।
এলাকাবাসি সুত্রে জানা গেছে, পরেশ চন্দ্র রায় দীর্ঘদিন থেকে জামতলী বাজারে মুদির দোকান করে আসছিলেন। তাঁর সাথে কারও কোন শত্রুতাও নেই। জামতলী বাজারের মধ্যে সবচেয়ে বড় দোকান ছিল তাঁর। মুদির দোকানের পাশাপাশি হার্ডওয়ারের মালামাল বেচা কেনা করতেন তিনি। তিনি খুচরা ও পাইকারী মাল বিক্রি করতেন। তাঁর প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল লুন্ঠিত হয়েছে বলে অনেকেরই ধারনা। পরেশ চন্দ্র রায়ের গোডাউনের পাশে পশির উদ্দীন নামের এক হোটেল ব্যবসায়ী জানান, তারই হোটেলে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে হোটেলের চেয়ার টেবিল আসবাবপত্র ভাংচুর করে। তিনিও বলেন, পরেশ বাবুর প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল লুণ্ঠন করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র থাকায় কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।
মেসার্স গৌতম স্টোর এর স্বত্তাধিকারী পরেশ চন্দ্র রায় বলেন, তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণারাণী রায় আজিমপুর ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদকের দ্বায়িত্বে ছিলেন। ৫ আগস্ট সোমবার শেখ হাসিনা পদত্যাগের সংবাদ ছড়িয়ে পরার ঘন্টা দুয়েক এরমধ্যে ২৫ থেকে ৩০ টি মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক দুর্বৃত্তের একটি দল তাঁর দোকানে হামলা চালানোর জন্য গেলে স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দগনের প্রতিরোধে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান পরেশ চন্দ্র রায়। এরপর বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে ৮ থেকে ১০ টি মোটরসাইকেল যোগে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দুর্বৃত্তের দল দোকান ও গোডাউনের দরজার তালা ভেঙ্গে সমুদয় মালামাল লুণ্ঠন করে নিয়ে যায়। আমার সাথে দলবল নির্বিশেষে সকলের সাথে ভাল সম্পর্ক ছিল। জানিনা তারপরও কেন আমার এতবড় ক্ষতি করল দুর্বৃত্তরা। আমি বর্তমানে নিঃশ্ব হয়ে গেছি।