রাজশাহীর তানোরে পুকুরে মাছ ধরতে নিষেধ করায় আ' লীগ নেতা ও তার পরিবারের লোকজনের হামলা ও মাপিট ও হাসুয়ার কোপে গুরুতর আহত হয়েছেন এক পুকুর মালিক অটো চালক। রক্তাক্ত মাথা ফাটা গুরুতর আহত অবস্থায় মোজাম্মেল হক (৫০) কে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি তানোর উপজেলার নারায়ণ পুর গ্রামের মৃত আবদুল জলিল মন্ডলের পুত্র।
সোমবার দুপুর পোনে ১ টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে নারায়ণপুর গ্রামের পুকুর পাড়ে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় তানোর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এলাকাবাসী ও প্রক্ষদর্শি সুত্রে জানা গেছে, মোজাম্মেলের পৈত্রিক সুত্রের পুকুরটি আ' লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে জবর দখল করে নেন একই গ্রামের প্রভাবশালী আ' লীগ নেতা গিয়াস উদ্দীন মাস্টার ও তার পুত্র আসলাম উদ্দিন।
ওই পুকুর নিয়ে উভয়ের মধ্যেই দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ চলে আসছিলো। একাধিকবার গ্রামে বসে আপোষের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন গ্রামবাসী। সোমবার দুপুরে আ' লীগ নেতা গিয়াস উদ্দীন মাস্টার ও তার পুত্র আসলাম উদ্দিনসহ তার পরিবারের ৬জন উপস্থিত থেকে পুকুরে মাছ ধরছিলো। এ সময় পুকুরের প্রকৃত মালিক অটো চালক পুকুরে গিয়ে মাছ ধরতে নিষেধ করলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আসলাম তার হাতে থাকা ধারালো হাসুয়ার কোপ দিয়ে মোজাম্মেলের মাথা ফাটিয়ে দেন।
এসময় গ্রামবাসী ও পরিবারের সদস্যরা মোজাম্মেলকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। তালন্দ ইউপির ২ নং ওয়ার্ড সদস্য খলিলুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আপষের জন্য গ্রামে বসা হলে মোজাম্মেলের পৈত্রিক সুত্রের কাগজ রয়েছে। কিন্তু আসলাম উদ্দিন কোন কাগজ দেখাতে পারেননি। আ' লীগ নেতা হওয়ায় দাপটে পুকুরটি জবর দখল করে আ' লীগ নেতা গিয়াস উদ্দীন মাস্টার ও তার পুত্র আসলাম উদ্দিন।
এবিষয়ে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত আসলাম উদ্দিন উদ্দিন বলেন, ওই পুকুরটি আমরা দীর্ঘদিন ধরে দখলে রেখেছি, আর আমাদেরকেই মাছ ধরতে নিষেধ করচে তাই জবাব দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। এ ব্যাপারে তানোর তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবদুর রহিম বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।