বিএনপি’র ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, বর্তমান ইউনুস সরকারের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা, সমর্থন ও ভালোবাসা রয়েছে। তাদেরকে আমরা স্বাগত জানিয়েছি, শুভেচ্ছা জানিয়েছি।
আমরা মনে করি জনগণের যে সেন্টিমেন্ট, সেই সেন্টিমেন্টকে ধারণ করে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগের রেখে যাওয়া জঞ্জাল পরিষ্কার কর বাংলাদেশকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি নির্বাচনমুখী প্রশাসন তুলে অবিলম্বে গ্রহণযোগ্য বিশ্বাসযোগ্য নিরপেক্ষ নির্বাচন দিবেন। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তার প্রতিনিধি খুঁজে পাবে এবং সেই জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ যে রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলেছে, সেই ভেঙে ফেলা রাষ্ট্রকে মেরামত করে জনগণকে সুখী সমৃদ্ধশালী ও শোষণমুক্ত সমাজ উপহার দিবে। তিনি শনিবার (১০ আগস্ট) বিকালে শেরপুর জেলা হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানান।
তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বাসা বাড়িতে হামলার বিষয়ে বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের পতন হওয়ার পর তারা সমাজে পেনিক সৃষ্টির জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের মন্দির, দোকানপাট ও বাসা বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। সেই সাথে এর দায় বিএনপির উপর চাপিয়ে দেওয়ার পায়তারা করছে। বিএনপি কখনোই সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না। তিনি বলেন, ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। ইতোমধ্যে সারা দেশে বিএনপি নেতা-কর্মীদের দিয়ে হিন্দু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের মন্দির বাসাবাড়ি ও দোকানপাট রক্ষার জন্য পাহারা বসানো হয়েছে।
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স শনিবার শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ মাহবুব আলমের পরিবার ও আহতদের হাসপাতালে খোঁজ খবর নিতে যান। তিনি স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ শহীদ মাহবুবের গ্রামের বাড়ি পাকুরিয়া ইউনিয়নের তারাগড় কান্দাপাড়া গ্রামে গিয়ে তাঁর (শহীদ মাহবুব) পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান, শহীদের কবর জিয়ারত করেন এবং সবসময় তাঁর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করেন। নেতৃবৃন্দ শহীদ মাহবুবের পরিবার ও আহতদের চিকিৎসার জন্য ব্যক্তিগতভাবে অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রদান করেন। এ সময় শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুল হক রুবেল, সিনিয়র সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল আউয়াল, শফিকুল ইসলাম মাসুদ, মামুনুর রশিদ পলাশ, ফজলুল হক তারা, আবু রায়হান রুপন, রমজান আলীসহ বিএনপি এবং বিভিন্ন অঙ্গ দলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রিন্স জেলা বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ে এক কর্মী সভায় মিলিত হন।
ল্লেখ্য, শেরপুর সদর উপজেলার পাকুরিয়া ইউনিয়নের তারাগড় কান্দাপাড়া গ্রামের মেরাজ আলীর ছেলে মাহবুব আলম বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করে প্রথম দিন ৪ আগস্ট শহীদ হন।