বিক্ষুব্ধ জনতার মাধ্যমে লুট হয়ে যাওয়া বিভিন্ন জিনিসপত্রের মধ্যে ছয় লাখ ৯২ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন এলাকাবাসী। শুক্রবার দিবাগত রাতে নগরীর পলাশপুর এলাকা থেকে এসব উদ্ধার করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এসব টাকা ও জিনিসপত্র বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বাসা থেকে লুট করা হয়েছিল। সূত্রমতে, শুক্রবার দিবাগত রাতে নগরীর পলাশপুর এলাকার বাসিন্দা ও ফল ব্যবসায়ী জামাল খানের বাসা থেকে টাকাগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি ৩৪ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সরকার পতনের পর গত ৫ আগস্ট সাদিক আব্দুল্লাহর বাসায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
ওইসময় জামাল একটি স্কুল ব্যাগ নিয়ে বাসায় আসেন। এর দুইদিন পর জামালকে অনেক টাকা গণনা করতে দেখেন তার স্বজনরা। এরপরই বিষয়টি এলাকাবাসী জানতে পারেন। পরবর্তীতে জামালের সন্ধান না পেয়ে তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। যা সেনাবাহিনীর সহায়তায় কাউনিয়া থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। সূত্রে আরও জানা গেছে, সাদিক আব্দুল্লাহর বাসা থেকে স্কুল ব্যাগ ভর্তি করে বিপুল পরিমাণে টাকা লুট করেছে জামাল। এলাকাবাসী বিষয়টি টের পাওয়ার পর সে (জামাল) কয়েক লাখ টাকা বাসায় রেখে বাকি টাকা নিয়ে আত্মগোপন করেন। কাইউম খান জানিয়েছেন, তার বাসায় ওই টাকা ছিল। তার ছেলে বাসা ছেড়ে পালিয়েছেন। তবে সে কত টাকা নিয়ে পালিয়েছে তা তার জানা নেই।
কাউনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ৬ লাখ ৯২ হাজার টাকা এলাকাবাসী উদ্ধার করে থানায় দিয়েছেন। এ সময় লুটের অভিযোগে অভিযুক্ত জামালের বাবা কাইউম খানও তাদের সাথে থানায় আসেন। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও ওসি উল্লেখ করেন।