যশোরের অভয়নগর উপজেলার ভৈরব নদ থেকে নিখোঁজের ২ দিন পর হাবিবুর রহমান মোল্যা (২৮) নামের এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের বিভাগদি গ্রাামের বালুর মাঠ সংলগ্ন ভৈরব নদ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত হাবিবুর রহমান মোল্যা উপজেলার মদ্যিপুর গ্রামের রেজাউল মোল্যার বড় ছেলে। সে কাঠমিস্ত্রির (পিড়া ব্যালন) এর কাজ করতো বলে জানা গেছে।
নিহতের স্ত্রী তামান্না আক্তার তিলকা জানান, গত রোববার বিকালে বাড়ি থেকে বের হয় আমার স্বামী হাবিব মোল্যা, তবে সন্ধার পর থেকে মোবাইলে কল ঢুকলেও রিসিভ হচ্ছিল না। বিভিন্ন যায়গায় খুঁজে না পেয়ে সোমবার রাতে অভয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। মঙ্গলবার দুপুরে নদিতে ভাটির সময় একটি লাশ ভেসে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় এলাকাবাসী। পরে অভয়নগর থানা পুলিশ হাত পা বাধা অবস্থায় অর্ধগলিত মরদেহটি উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে দুইদিন আগেই তাকে হত্যা করে তার দুই হাত ও দুই পায়ে বালুর বস্তা বেঁধে নদিতে ফেলে দেওয়া হয়। নিহত হাবিবুর রহমানের নামে অভয়নগর থানায় ৩ টি মাদক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৈয়েবুর রহমান জানান, মাদক সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে। হাবিবুর রহমানের বাবা রেজাউল ইসলাম ঘটনার সাথে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। এব্যারে জানতে চাইলে অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম আকিকুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পায় যে ভৈরব নদে একটি মরদেহ ভেসে আছে। এরপর নৌ-পুলিশের এসআই লিয়াকত হোসেনকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হাবিবুর রহান নামের এক যুবকের অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।