দেশব্যাপী কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের সাথে সমন্বয় রেখে বরিশাল বিশ^বিদ্যালয়ের (ববি) ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের সমন্বয়কারী সুজয় শুভ বলেছেন, সন্ত্রাস ও সহিংসতার সাথে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোন সম্পৃক্ততা নেই এবং এটাকে আমরা ঘৃনা করি।
শনিবার বিকেল সাড়ে চারটায় বরিশাল বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জরুরী সংবাদ সম্মেলনে সুজয় শুভ আরও বলেছেন, আমরা বরাবরই শান্তিপূর্ণ ও অহিংস আন্দোলন করে আসছিলাম। কিন্তু আন্দোলন চলাকালীন সময়ে দেশব্যাপী নানা অনাকাঙ্খিত ঘটনার প্রেক্ষিতে আমাদের অনেক ভাই-বোন আহত ও নিহত হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা কারো অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হতে চাচ্ছিনা।
সংবাদ সম্মেলনে কোটা আন্দোলন চলাকালীন সময়ের শিক্ষার্থী মাহমুদুল আলম রাজিব, ভূমিকা সরকার, সিরাজুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। সুজয় শুভ বলেন, মহামান্য আদালত কোটা সংস্কারের পক্ষে রায় প্রদান করে এবং সরকারের নির্বাহী বিভাগ তা অনুসরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। নির্বাহী বিভাগ আমাদের কোটা সংস্কারের দাবির প্রেক্ষিতে যে সমাধান করেছে, আমরা তাতে মনে করি শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতিফলন ঘটেছে। তিনি বলেন, আমরা অহিংস আন্দোলনে বিশ্বাসী এবং আমাদের উপর্যুক্ত দাবিসমূহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি। এই মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় ও নানা বাস্তবতায় আমাদের কোন কর্মসূচি নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সুজয় শুভ আরও বলেছেন, সারাদেশের শিক্ষার্থীদের দাবির পাশাপাশি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষাপটে কিছু দাবি রয়েছে। দাবিগুলো হল-অনতিবিলম্বে বিশ^বিদ্যালয়ের হল খুলে দিতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় সাধারণ জনগণকে কোনো ধরনের মামলা বা হয়রানি করা যাবে না, শিক্ষার্থীদের বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক কোনো ধরনের হয়রানি করা যাবে না। ছাত্র সংসদ নির্বাচন ও ক্যাম্পাস খোলার পর ক্যাম্পাসের নিরাপদ এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখ্য, এরপূর্বে বিশ^বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভিতরে দিনভর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে ববি কর্তৃপক্ষ ও বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে রুদ্ধদার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।