কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে নিখোঁজের একদিন পর উপজেলা পরিষদের পুকুর থেকে মো. ইমন (১০) নামে এক স্কুল ছাত্রের ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার প্রাতভ্রমনে হাটার সময় লাশ ভাসতে দেখে পুলিশকে সংবাদ দেয়। নিহত শিশু মো. ইমন জালালপুর ইউনিয়নের উত্তর চর-ঝাকালিয়া গ্রামের প্রবাসী নজরুল ইসলামের ছেলে। সে কটিয়াদী ১ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র৷
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, কটিয়াদী পশ্চিম পাড়ায় শিক্ষকের বাসায় প্রাইভেট পড়ে ইমন। প্রতিদিনের মতো সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে বাড়ি থেকে বেড় হয়ে আর ফিরেনি। পড়া শেষে সাধারনত সকাল ৯টার দিকে বাড়িতে ফিরে। গতকাল সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেলেও সে বাড়ি ফিরে না আসায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে স্বজনরা। কিন্তু তার সন্ধান মিলেনি৷ বিষয়টি কটিয়াদী মডেল থানায় অবহিত করা হয়। মঙ্গলবার ভোরে প্রাতভ্রমনকারীগণ কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের ভিতরের পুকুরে লাশ ভাসতে দেখে। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে৷ সংবাদ পেয়ে স্বজনরা ইমনের লাশ শনাক্ত করেন।
কটিয়াদী ১নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুজিত কুমার সাহা বলেন, প্রতিদিন পড়তে আসলেও গতকাল সে আসেনি। নিখোঁজের সংবাদ শুনে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেছি।
নিহতের চাচা দুলাল মিয়া বলেন, প্রাইভেট পড়ে সকাল ৯টার মধ্যে বাড়ি ফিরে যায়। কিন্তু ঐদিন বাড়ি ফিরে না আসায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ছবি দিয়ে নিখোঁজের সংবাদ প্রচার করি। যে পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে সন্ধ্যার পরও মানুষের চলাফেরা থাকে। ঘটনাটি কখন কিভাবে ঘটেছে বুঝে উঠতে পারছি না। তার বই, ব্যাগ পাওয়া যায়নি। তবে পড়নের কাপড় পাওয়া যায় পুকুর পাড়ে।
কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, সকালে উপজেলা পরিষদের পুকুরে একটি লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা আমাকে জানায়৷ পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে।
কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ দাউদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলা পরিষদের পুকুর থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।