নওগাঁর পত্নীতলায় রোববার সকাল আনুমানিক ১০টার সময় বুড়িদহ নামক বিলের পানি থেকে থানা পুলিশ নজিপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মিতুর (৪২) লাশ উদ্ধার করেছে। তিনি নির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ছোট চাঁদপুর গ্রামের মো. আফসার আলী মন্ডলের ছেলে। নিজ বাড়ি হতে কয়েক কিলোমিটার দুরে পাটিচরা ইউনিয়নের ছালিগ্রাম গ্রামে অবস্থিত বুড়িদহ বিল হতে তাঁর ভাসমান লাশ উদ্ধার হওয়ায় এলাকার বেশ চ্যাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে তরুন কাউন্সিলর মিতুর অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহত ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মিতুর পরিবারের সদস্য ও পত্নীতলা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকালে স্থানীয় লোকজন বিলের মধ্যে মরদেহ ভাসতে দেখে পত্নীতলা থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় কাউন্সিলর মিজানুর রহমানের মরদেহ উদ্ধার করে এবং লাশের ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
কাউন্সিলর মিতুর প্রতিবেশী নজিপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মিল্টন উদ্দিন জানান, এটা স্বাভাবিক মৃত্যু হতে পারে না। বিষয়টি তদন্ত করে মৃত্যুর সঠিক কারণ বা রহস্য উদঘাটন করে দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য তিনি দাবী জানান।
নজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী আফজাল হোসেন লাটিম জানান, নিহত মিতুর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। সঙ্গত কারণেই এটা স্বাভাবিক মৃত্যু হতে পারেনা।
নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে পত্নীতলা থানা অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন বলেন, মিজানুর রহমান গত শুক্রবার দিবাগত রাতে নিজ বাসাতেই ছিলেন। ’শনিবার সকাল ১০টার দিকে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। এরপর তিনি আর বাড়িতে ফিরেননি। তিনি আরও বলেন, কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মিতু মাদকাসক্ত ছিলেন। মাদকাসক্ত হওয়ার কারণে তার স্ত্রী-সন্তানেরা কেউ তার সঙ্গে থাকে না, সন্তানদের নিয়ে স্ত্রী বাবার বাড়িতে থাকেন। ধারণা করা হচ্ছে, মাদকাসক্ত অবস্থায় বিলের পানিতে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এটি হত্যাকা- নাকি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু তা খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে।