চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার ‘উন্নয়নে বাধা দেয়ার’ চেষ্টা করা হলে সংসদ সদস্য আবদুল ওদুদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার হুমকি দেয়া হয়েছে। শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের কাঁঠালবাগিচার একটি একটি অনুষ্ঠান থেকে এই হুশিয়ারি দেন পৌর মেয়রসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
স্থানীয় সরকারের কোভিড-১৯ রেসপন্স অ্যান্ড রিকোভারি প্রজেক্টের আওতায় সড়ক ও ড্রেন নির্মাণ কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পৌরসভা। এতে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোখলেসুর রহমান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আরিফুর রেজা ইমন, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আল কামাল ইব্রাহিম রতনসহ অন্যরা। বক্তাদের সবাই আবদুল ওদুদের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা ও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বক্তৃতা করেন।
আব্দুল ওদুদ চাঁপাইবনাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোখলেসুর রহমান বলেন, পৌর এলাকার উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্ত করতে একের পর এক ডিও লেটার দিয়ে যাচ্ছেন সংসদ সদস্য। শুধু তাই নয় আমি যাতে মেয়রের চেয়ারে বসতে না পারি সে জন্যও ডিও লেটার দিয়েছেন। আপনাকে বলতে চাই আপনি যেমন শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য হয়েছেন আমিও শেখ হাসিনার নৌকা নিয়ে মেয়র হয়েছি। আপনার চরিত্র থেকে সরে না আসলে এই শহরে আপনাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে। আপনি পালানোর পথ পাবেন না। মোখলেসুর রহমান বলেন, আপনি সংসদ সদস্য হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরবাসীকে কোন উন্নয়ন প্রকল্প দেন নি। বরং আওয়ামী লীগকে খ- খ- করে ভাগ করে দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন।
এর আগে একই অনুষ্ঠাতে আবদুল ওদুদকে অবাঞ্ছিত করার হুমকি দেন জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আল কামাল ইব্রাহিম রতন। তিনি বলেন, মেয়রের হাত ধরে এই শহরের উন্নয়ন হবে। কিন্তু আমরা জেনেছি উন্নয়ন কাজ করতে না দেয়ার জন্য আপনি সাত-সাতটি ডিও লেটার পাঠিয়েছেন। উন্নয়নে বাধা দেয়ার চেষ্টা করা হলে আপনাতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।
তবে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও সংসদ সদস্য আবদুল ওদুদকে পাওয়া যায় নি। তবে গত ১০ জুলাই আরেকটি অনুষ্ঠানে মেয়র মোখলেসুর রহমান পৌর এলাকার উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগ করেছিলেন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে। সে সময় আবদুল ওদুদ বলেন, আমার ডিও লেটারেই পৌরসভার বিভিন্ন প্রকল্পের অনুমোদন হয়েছে। এখানে মেয়রের কোন কৃতিত্ব নেই। মেয়র শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে। তার ব্যর্থটা ঢাকার জন্য আমার উপর দায় চাপাঁচ্ছে।