চাঁপাইনবাবগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুস সালামসহ জোড়া খুন মামলার আরো চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার চট্টগ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে অব্যবহৃত ৩৩ টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে তাৎক্ষনিকভাবে আসামিদের নামণ্ডপরিচয় প্রকাশ করেন নি তিনি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম জানান, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে চট্টগ্রামে অভিযান চালায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। সেখান থেকে এজাহারভুক্ত চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া চারজনই হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে দাবি করেন তিনি।
গ্রেপ্তারকৃতদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ সোমবার রাত ও মঙ্গলবার সকালে শিবগঞ্জ উপজেলার ঢোরবোনা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে ৩৩ টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। এ ককটেলগুলো হত্যাকাণ্ডের সময় হত্যাকারীদের সঙ্গে ছিল, তবে সেগুলো বিস্ফোরণের প্রয়োজন হয়নি। উদ্ধারের পর ককটেলগুলোর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সালাম ও মতিনকে হত্যায় ককটেলের পাশাপাশি আগ্নেয়াস্ত্রও ব্যবহার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করে পুলিশ। তবে কী ধরণের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এখনো হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
গত ২৭ জুন জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার রানীহাটি এলাকায় খুন হন নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য আবদুস সালাম, এবং তার সহযোগি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক মতিন আলী। ওই জোড়া খুনে আবদুস সালামের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম বাদী হয়ে ৫২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।