নীলফামারীর জলঢাকায় প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নির্মিত ওয়াশ ব্লকের কাজ সমাপ্ত না করে ঠিকাদার উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে বরাদ্দকৃত ওয়াশ ব্লকের কাজ সমাপ্ত না হওয়ায় বিপাকে পরেছে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক শিক্ষিকারা। উপজেলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায় পিইডিপি-৪ প্রকল্পের আওতায় জলঢাকা উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২২টি ওয়াশ ব্লক নির্মানের জন্য ২০২১ সালের টেন্ডারের মাধ্যমে দরপত্র আহবান করেন নীলফামারী জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রতিটি ওয়াশ ব্লক নির্মানের ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। দ্বিতল ভবন ওয়াশ ব্লকগুলোতে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য ৬টি ওয়াশ রুমের ব্যবস্থা রাখা হয়। ১৯টি ওয়াশ ব্লকের কাজ যথা সময়ে সমাপ্ত করলেও দীর্ঘ প্রায় ৩ বছরেও ছিটমীরগঞ্জ শালনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালীগঞ্জ গোলনা পূর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কালীগঞ্জ চৌপথি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়াশ ব্লক নির্মানের কাজ সমাপ্ত করা হয়নি আজও। শুধুমাত্র অবকাঠামো নির্মান কাজ শেষ করে ভিতরের কাজ সম্পূর্ন অসমাপ্ত রয়ে গেছে। শালনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মনি আক্তার ও আবদুর রহিম জানায় আমাদের এখানে টয়লেট না থাকায় আমাদের অনেক সমস্যা হয়। অনেক সময় ক্লাস ছেড়ে লাইন ধরে টয়লেট সাড়তে হয়। শালনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নার্গিস সুলতানা জানায় ওয়াশ ব্লকের কাজ ৬৫% করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন আর এখানে আসে না প্রায় ৩ বছর ধরে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়েছে বারবার কিন্তু এপর্যন্ত কোন ফল পাওয়া যায়নি। তিনি আরও জানান ওয়াশ ব্লকের কাজ না হওয়ায় শিক্ষার্থীসহ আমরা শিক্ষক ১২ জন যার মধ্যে ৯জনই নারী। কোন মত দুটি ওয়াশ রুম ব্যবহার করছি ২০১ জন শিক্ষার্থীসহ আমরা শিক্ষকরা। এ বিষয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আবদুল গফুর তালকুদার বলেন বন্ধ হয়ে থাকা ওয়াশ ব্লকের কাজ পুনরায় শুরু করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে কয়েকদফা চিঠি দিয়েছি কিন্তু তাদের কাছ থেকে কোন সারা পাওয়া যায়নি। তিনি আরও জানান, আগামী ৬ জুলাই শনিবার আমাদের দপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীসহ উধ্বর্তন কর্মকর্তারা এ বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা বিভাগীয় পর্যায়। ছিটমীরগঞ্জ শালনগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়ে ওয়াশ ব্লক নির্মান কাজে ঠিকাদার প্রতিনিধি মোরছালিনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান যৌথ ব্যবসা করতাম কিন্তু এখন আমি এ কাজের সাথে নাই কাজ আমি ছেড়ে দিয়েছি। কালীগঞ্জ গোলনা পূর্ব পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওয়াশ ব্লক নির্মান কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোহছেনা এন্টারপ্রাইজের জাকির আক্তার জানায় বরাদ্দ না থাকায় কাজ বন্ধ আছে। বরাদ্দ পেলে আবার শুরু করব।