খুলনার পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত চেয়ারম্যান রাজনীতি নেতা ও ব্যবসায়ী। ভাইস চেয়ারম্যান দুই জনই শিক্ষক। দুু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়াই পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্টু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী চিংড়ি মাছ প্রতীকে ৩৩ হাজার ৮৭২ ভোট পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও চিংড়ি পোনা ব্যবসায়ী আনন্দ মোহন বিশ্বাস উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল হাসান টিপু মোটরসাইকেল প্রতীকে পান ৩১ হাজার ২৭৮ ভোট। অপরদিকে পালকি প্রতীকে ১৮ হাজার ১৬৬ ভোট পেয়ে প্রভাষক আবদুল ওয়াহাব বাবলু উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি একটি বেসরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেন। তার নিকটতম যুবলীগ নেতা সুকুমার ঢালী উড়োজাহাজ প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৮২০ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শিক্ষক অনিতা রাণী মন্ডল ফুটবল প্রতীকে ৩৬ হাজার ২৮১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি একটি কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে প্রধান শিক্ষক। তার নিকটতম উপজেলা যুব মহিলা লীগের ময়না বেগম হাঁস প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ৯৬৪ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান দুই জন শিক্ষকতায় কর্মরত। রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৯৭টি কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে উপজেলার রাড়-লী ভূবন মোহিনী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে মোটরসাইকেল প্রতীকের কর্মী সমর্থকরা চিংড়ি মাছ প্রতীকের শাহীন গাজী সহ কয়েকজন সমর্থক কে মারপিট করে বলে অভিযোগ করেন। এ ছাড়া উপজেলার সবখানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তবে নির্বাচনে তুলনামূলক ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম ছিল। নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে বলে জানান সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির সংখ্যা ৩৪.৪৭ শতাংশ। মোট ভোটার ২ লক্ষ ৩১ হাজার ৯১৩। ভোট প্রদান করেছেন ৭৯ হাজার ৯৫৪ জন ভোটার।